কৃষি আইন: আন্দোলন ও আলোচনা একসঙ্গে চলুক, বলল সুপ্রিম কোর্ট

শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করার সম্পূর্ণ অধিকার আছে কৃষকদের (farmers)। বৃহস্পতিবার স্পষ্ট জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট (supreme court)। কৃষি আইন (farm law) বাতিলের দাবিতে টানা বাইশ দিনের কৃষক বিদ্রোহের আঁচ এবার পৌঁছে গিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালতে। এই ইস্যুতে একাধিক মামলা হয়েছে। সেই মামলার সূত্রেই সুপ্রিম কোর্ট বৃহস্পতিবার বলল, আন্দোলন করার পূর্ণ অধিকার (right) রয়েছে কৃষকদের। তবে তা হতে হবে শান্তিপূর্ণ (peaceful) এবং সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক চলাফেরার (free movement) অধিকারের ব্যাঘাত না ঘটিয়ে।

গতকালই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, কেন্দ্রীয় সরকার খোলা মনে কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় না বসলে পরপর বৈঠক করেও কোনও লাভ নেই। বরং কৃষকদের আন্দোলন অচিরেই জাতীয় ইস্যু হয়ে উঠবে। সুপ্রিম কোর্ট বলে, সমস্যার নিষ্পত্তির স্বার্থে উভয় পক্ষ মিলে একটি প্যানেল তৈরি করা হোক। তবে এই প্রস্তাবে সায় নেই কৃষক সংগঠনগুলির।তাদের বক্তব্য, প্যানেল গঠন মানেই দীর্ঘসূত্রতা। আইন বাতিল হলেই একমাত্র মানতে রাজি কৃষকরা। এই পরিস্থিতিতে এদিন সুপ্রিম কোর্ট বলে, যে কোনও প্রতিবাদ বা বিক্ষোভের মূল উদ্দেশ্য সমস্যার সমাধান করা। দুপক্ষের মধ্যে আলোচনা ব্যতীত সমাধান বেরোবে কী করে? আলোচনা বন্ধ করে রেখে সমাধানের প্রক্রিয়া খোঁজা যায় না। এই পরিপ্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালত সরকারকে প্রস্তাব দিয়েছে, যতদিন না সদর্থকভাবে সমস্যার নিষ্পত্তি হচ্ছে ততদিন আইন প্রয়োগ স্থগিত রাখা যায় কিনা তা ভেবে দেখা উচিত।

আরও পড়ুন:প্রতারণা এবং চুরির দায়ে গ্রেফতার মুম্বইয়ের টেলি অভিনেতা

সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য, আমরা আইনের বৈধতা (validity) খতিয়ে দেখছি না। কীভাবে সমস্যার মীমাংসা হতে পারে তার পথ বাতলে দিতে পারি আমরা। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোবদে, বিচারপতি বোপান্না ও বিচারপতি রামসুব্রহ্মণিয়মের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলে। বিচারপতিরা বলেন, আন্দোলন (protest) চলতেই পারে, কিন্তু একইসঙ্গে আলোচনাও (discussion) প্রয়োজন।

Previous articleপ্রতারণা এবং চুরির দায়ে গ্রেফতার মুম্বইয়ের টেলি অভিনেতা
Next articleশুভেন্দু দল ছাড়তেই তৃণমূল ত্যাগের ঘোষণা উত্তরবঙ্গের দুই অনুগামী নেতার