পাহাড়ে একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের(Central University) দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। তবে আশ্বাস মিললেও তৎপরতা দেখায়নি মোদি সরকার। এরই মাঝে কেন্দ্রের আগেই পাহাড়ে দার্জিলিং হিলস বিশ্ববিদ্যালয়ের(Darjeeling hills University) কাজ শুরু করে দিয়েছে রাজ্য সরকার(state government)। নিয়োগ হয়ে গিয়েছেন উপাচার্য। শনিবার ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য হলেন কালিম্পং কলেজের অধ্যক্ষ রাজেন্দ্র প্রসাদ ধাকাল(Rajendra Prasad Dhakal)। পাশাপাশি আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য(Vice chancellor) হিসেবে মনোনীত হয়েছেন জলপাইগুড়ি পিডি উইমেন্স কলেজের অধ্যক্ষ শান্তি ছেত্রী। তবে দুই মনোনয়ন নিয়ে ঠান্ডা লড়াই জারি থাকল রাজ্য উচ্চশিক্ষা দফতর ও এবং রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের(Jagdeep Dhankar)। জানা গিয়েছে, দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেই রাজ্যের তরফের যে তিনটি করে নামের তালিকা দেওয়া হয়েছিল তার মধ্য থেকে প্রথম দুটি নাম বাদ দিয়ে শেষ নামটি বেছে নিয়েছেন রাজ্যপাল।

শনিবার রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের(Partha Chatterjee) একটি টুইট প্রকাশ্যে আসে যেখানে তিনি লেখেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজকর্ম শুরু করার জন্য একটি সার্চ কমিটি রাজ্য সরকারের তরফে তৈরি করা হয়েছে। পছন্দের প্রথম তালিকায় উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দিলীপ সরকারের নাম রয়েছে, দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন জলপাইগুড়ি পলিটেকনিক কলেজের অধ্যক্ষ পূজন সরকার। এবং তৃতীয় স্থানে কালিম্পং কলেজের অধ্যক্ষ রাজেন্দ্র প্রসাদ ধাকাল।’ পার্থ চট্টোপাধ্যায় ট্যুইটের পর রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীপ ধনকড় একটি টুইট করেন। যেখানে তিনি লেখেন, রাজেন্দ্র প্রসাদ ধাকালকেই আগামী চার বছরের জন্য প্রথম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ করা হল। তাঁর চার বছরের সময় কালের আগেই যদি বয়স ৬৫ বছর পূর্ণ হয় সে ক্ষেত্রে তাঁর মেয়াদ পূর্ণ হয়ে যাবে।

তবে শুধু দার্জিলিং হিলস নয়, আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে। জানা গিয়েছে, উচ্চ শিক্ষা দপ্তর আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের জন্য যে তিনটি নামের তালিকা পাঠানো হয় তাতে প্রথমে নাম ছিল উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক মহেন্দ্র রায়, দ্বিতীয় নাম হিসেবে উঠে আসে অধ্যাপক সঞ্চারী রায় মুখোপাধ্যায়েরএবং তৃতীয় নাম ছিল জলপাইগুড়ি পিডি ওমেন্স কলেজের অধ্যক্ষ শান্তি ছেত্রীর। উপাচার্য জগদীপ ধনকড় প্রথম দুটি নাম বাদ দিয়ে শান্তি ছাত্রীকেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে বেছে নেন। যার জেরে রাজ্য সরকার ও উপাচার্যের সংঘাত আরো একবার প্রকাশ্যে চলে আসে।

আরও পড়ুন:“তৃণমূল আজ বেইমান মুক্ত”, “শুভেন্দু-ভাইরাস” বিদায় নিতেই মদনের ডিজে-নাচ!

এ প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, ‘’রাজ্যপাল বরাবরই রাজ্যের সঙ্গে একটা রেষারেষির জায়গায় গিয়ে সব ক্ষেত্রেই একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের ক্যাডারের কাজ করছেন। একজন সাংবিধানিক ব্যক্তির ক্ষেত্রে তা অত্যন্ত অমর্যাদাকর, দুঃখজনক। অর্ডার অফ প্রেফারেন্স তো রাজ্যের গঠিত সার্চ কমিটি ঠিক করে।’ নতুন উপাচার্য ধাকাল অবশ্য জানান, সরকারি চিঠি হাতে না পাওয়া পর্যন্ত তিনি এ ব্যাপারে কিছু বলবেন না।
