“তৃণমূল আজ বেইমান মুক্ত”, “শুভেন্দু-ভাইরাস” বিদায় নিতেই মদনের ডিজে-নাচ!

হঠাৎ তাঁর বিজেপি (BJP) প্রীতি নয়, অমিত শাহের (Amit Sha) সঙ্গে সেই ২০১৪ থেকে তলে তলে যোগাযোগ ছিল শুভেন্দু অধিকারীর। মেদিনীপুরের জনসভায় গেরুয়া শিবিরে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিয়ে নিজে মুখে সে কথা স্বীকার করেছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikay)। আর শুভেন্দুর সেই বক্তব্যকে
হাতিয়ার করে তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন পরিবহন মন্ত্রী মদন মিত্র (Madan Mitra) কটাক্ষের সুরে বলেন, “২০১৪ থেকে বেইমানি করে আসছে, এখন তা স্বীকার করল। ছুরি মেরেছে। এখন তৃণমুল বেইমানমুক্ত।”

অমিত শাহ সম্পর্কে জনসভায় ঠিক কী বলেছিলেন শুভেন্দু?

”আমার বড় ভাই, আমার দাদা দেশের গৌরব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ২০১৪ সালে নির্বাচনে দলকে উত্তরপ্রদেশে বিশাল জয় পাইয়ে দিয়েছিলেন। অশোক রোডে পুরনো পার্টি অফিসের ছোট্ট ঘরে দর্শন দেন তিনি। সুযোগ করে দিয়েছিলেন তৎকালীন রাজ্যের পর্যবেক্ষক সিদ্ধার্থনাথ সিং। ভাইয়ের মতো ভালবাসেন আমায়। কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলাম। ২১ বছর যাদের জন্য করেছি, তারা খোঁজ নেয়নি। অমিতজি দু-বার খোঁজ নিয়েছেন। কোটি কোটি প্রণাম তাঁকে।”

শুভেন্দুর এমন বক্তব্যকে নিশানা করে শুধু প্রতিক্রিয়া দেওয়া নয়, শুভেন্দু বিদায়ে রীতিমতো ডিজে নিয়ে শোভাযাত্রা বের করেছিলেন মদন মিত্র। বেলঘরিয়ার রথতলায় জগন্নাথ মন্দিরে পুজো দেন মদন মিত্র। যজ্ঞও করেন। তাঁর শোভাযাত্রাও কর্মসূচিও ছিল বেশ বর্ণময়। খোল-তাসা নিয়ে বাইক মিছিল করেন মদন।

আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে দলে বেশ খানিকটা ক্ষতি হবে, এমন আশঙ্কা যখন অনেকের মনে দানা বেঁধেছে, ঠিক তখনই “ভাইরাস বিদায় হয়েছে দল থেকে”, একথা বলে এই শোভাযাত্রা বের করেন মদন।

এখানেই শেষ নয়, দীর্ঘদিনের সহযোদ্ধাকে “অসুর” বলে অভিহিত করে মদন মিত্র বুঝিয়ে দিলেন শুভেন্দু চলে যাওয়ায় তৃণমূলের কোনও ক্ষতি তো হলই না বরং লাভ হল। “শুভেন্দু-ভাইরাস” তৃণমূলের শরীর থেকে বেরিয়ে যেতেই আত্নহারা মদন ভোজপুরি গানের সঙ্গে কোমর দোলাতে দোলাতে, হাততালি দিতে দিতে নিজের জামাই খুলে ফেললেন!

 

Previous articleশেষ মুহূর্তে শাহি-মেনুতে রদবদল, দেখে নিন কী কী আছে মেনুতে
Next articleরাজ্যের দেওয়া উপাচার্য তালিকার প্রথম দুই নাম কেটে তৃতীয়তে সম্মতি ধনকড়ের