মিমের পর এবার বাংলায় প্রার্থী দেবে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, বিপাকে পড়তে পারে বিজেপি

বিহার নির্বাচনে সাফল্যের পর পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে হায়দ্রাবাদের আসাদউদ্দিন ওয়েসির দল মিম। তবে শুধু মিম নয়, বাংলার নির্বাচনী লড়াইয়ে অংশ নিতে ময়দানে হাজির হল আরও একটি দল ‘ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা’। রবিবার কলকাতায় সাংবাদিক সম্মেলন করে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করার কথা জানিয়ে দিলেন ঝাড়খণ্ডের পরিবহন মন্ত্রী চম্পাই সোরেন। সম্প্রতি বিজেপিকে সরিয়ে ঝাড়খণ্ডের ক্ষমতায় এসেছে জেএমএম দল। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন হেমন্ত সোরেন। দলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বাংলার বেশ কিছু আসনে, যেখানে তাদের সাংগঠনিক জোর রয়েছে সেখানেই প্রার্থী দেবে তারা।

কোন কোন আসনে এবার বাংলায় জেএমএম প্রার্থী দিতে চলেছে তার কোনও স্পষ্ট তালিকা তৈরি না হলেও দলের মুখপাত্রের তরফে জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, মালদা ও দুই দিনাজপুরের বেশ কিছু আসনে তারা এবার প্রার্থী দিতে চলেছে। দলের দাবি, তৃণমূলের অত্যাচারে বাংলার মানুষ অতিষ্ঠ। আর বিজেপি একটি সাম্প্রদায়িক দল। ফল স্বরূপ, দুই দলের বিরুদ্ধে প্রার্থী দিতে চলেছে তারা। যদিও জেএমএম আদতে আদিবাসী দল। আদিবাসীদের অধিকারের পক্ষে লড়াই এই দলের মূল ভিত্তি। যে সমস্ত জায়গায় তারা এবার প্রার্থী দেবে সেই জায়গাগুলিও মূলত আদিবাসী জনজাতি বিশিষ্ট। পাশাপাশি যে সমস্ত লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি বিপুল জয় পেয়েছে সেখানে এবার লড়াইয়ে নামছে এই দল। আর এখান থেকেই রাজনৈতিক মহলের আশঙ্কা, এই দল বঙ্গ নির্বাচনের ময়দানে নামলে বিজেপির জন্য বড় ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

আরও পড়ুন:বাগডোগরায় মমতার বিমান অবতরণে বেনিয়ম! তদন্তের নির্দেশ

শুধু তাই নয়, রাজনৈতিক মহলের আরও দাবি হেমন্ত সোরেনের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক বেশ ভালো। সোরেনের মুখ্যমন্ত্রীর শপথ গ্রহণের সময় রাঁচিতে আমন্ত্রিত হয়ে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সবমিলিয়ে গোটা বিষয়টিকে সন্দেহের নজরে দেখছে বিজেপি সহ রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। কংগ্রেস নেতাদের তরফে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, জেএমএম-এর সঙ্গে তৃণমূল গোপন আঁতাত করেছে। বাংলার নির্বাচনে ভোট কাটাকাটির জন্যই এই পরিকল্পনা তৃণমূলের।

Previous articleবাগডোগরায় মমতার বিমান অবতরণে বেনিয়ম! তদন্তের নির্দেশ
Next articleআগামী ৪৮ ঘণ্টা শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি থাকবে রাজ্যে, পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের