কৃষকদের বোঝাতে গিয়ে ফের বাংলাকেই আক্রমণের লক্ষ্য বানালেন মোদি

বিধানসভা ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রীর (prime minister) একাধিক কর্মসূচিতেই উঠে আসছে বাংলার (bengal) উল্লেখ। নানাভাবে রাজনৈতিক আক্রমণের লক্ষ্য হচ্ছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস (tmc)। ব্যতিক্রম হল না এদিনও। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি যোজনার অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (narendra modi) চড়া সুরে আক্রমণ করলেন মমতা (mamata) সরকারকে। কৃষকদের নিয়ে অনুষ্ঠানে দিল্লির কৃষক বিক্ষোভকে (farmers protest) কটাক্ষ করে বললেন, বাংলার কৃষকদের কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। তাহলে বাংলায় বিক্ষোভ না দেখিয়ে পাঞ্জাব, দিল্লিতে বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে কোন যুক্তিতে? প্রধানমন্ত্রী বলেন, গোটা দেশের সামনে জানাতে চাই, কিষান সম্মান নিধি প্রকল্পের টাকা থেকে একমাত্র বাংলার কৃষকদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। সেটা নিয়ে কেউ কিছু বলছেন না। অথচ বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে এমন আইনের বিরুদ্ধে, যাতে কৃষকদের আর্থিক স্বাধীনতা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। মোদির কথায়, সরল কৃষকদের রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য ব্যবহার করছে কিছু দল, যারা জনগণের রায়ে পরাজিত। বস্তুত মোদি এদিন কৃষক বিক্ষোভ প্রসঙ্গে একইসঙ্গে তৃণমূল, (tmc) কংগ্রেস (congress) ও বামেদের (left) তীব্র আক্রমণ করেন।

কৃষি আইনের পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে এদিনও ফের পুরনো কথারই পুনরাবৃত্তি করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বড়দিনে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বিজেপি সমর্থক কৃষকদের সঙ্গে ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় তিনি বলেন, ‘চুক্তিভিত্তিক চাষ নিয়ে ভুল বোঝাচ্ছে কিছু মানুষ। বেসরকারি সংস্থা জমি নিয়ে নেবে বলে ভুল বুঝিয়ে কৃষকদের একাংশকে উসকে দেওয়া হচ্ছে। আমি স্পষ্ট করতে চাই, আপনাদের জমি কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবে না। সরকার কৃষকদের স্বার্থেই নয়া আইন চালু করেছে। আর তার লাভ তুলবেন দেশের প্রতিটি কৃষক। এদিন প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি প্রকল্পের ১৮ হাজার কোটি টাকার আর্থিক সাহায্য ৯ কোটি কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে।

এদিনের অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, বাংলার কৃষকদের কাছে কেন্দ্রের সাহায্য পৌঁছতে দিচ্ছে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই কিষাণ নিধি যোজনার সুফল পৌঁছতে দিচ্ছে না বাংলার সরকার। স্রেফ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বাংলার ৭০ লক্ষ অন্নদাতাকে বঞ্চিত করা হয়েছে।

Previous articleকৃষি-শিল্প নিয়ে তৃণমূল নেত্রীকে কটাক্ষ লকেটের
Next articleবিতর্কের মাঝে আবরও নতুন বিজ্ঞাপনে মহারাজ