শীতের মরশুমে ‘একটি প্রযোজনা’ উৎসব !

অতিমারীর ভয় কাটিয়ে ধীরে ধীরে খুলছে প্রেক্ষাগৃহের তালা। এই অবস্থায় সকল প্রকার স্বাস্থ্য বিধি মেনেই ‘একটি প্রযোজনা উৎসব‘-এর আয়োজন করেছিল ‘একটি প্রযোজনা‘ নাট্যদল। তাদের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে ২৫ ও ২৬ শে ডিসেম্বর মুক্তাঙ্গন রঙ্গালয়ে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন রাজ্য একাডেমিক সদস্য সচিব ডঃ হৈমন্তী চট্টোপাধ্যায়। তাঁর পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের হাত দিয়েই প্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্য দিয়েই অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। দুদিনে মঞ্চস্থ হয় মোট ৬টি নাটক। শুরুতেই আয়োজক সংস্থা ‘একটি প্রযোজনা‘ ঐকতান নাট্য বিভাগের শিশুদের নিয়ে ‘হিংসুটে‘ নাটকটি পরিবেশন করে। সুকুমার রায়ের লেখা হিংসুটে নাটকের সাথে হারিয়ে যাওয়া কিছু খেলা, কিছু গান সংযোজনের মধ্য দিয়ে নাটকটি একটি অন্যমাত্রা লাভ করে দর্শকের কাছে। নাটকটি নির্দেশনার দায়িত্বে ছিলেন ভাস্কর পাল, কোরিওগ্রাফি করেছেন সমাপ্তি ঘোষ।

আরও পড়ুন : ঝোলায় ঠাসা শীতের কম্বল, বড়দিনের আগে শহরে হাজির স্যান্টা

দ্বিতীয় নাটক খড়দহ থিয়েটার জনের ‘আমি তো সেই মেয়ে‘। প্রবীর গুহের লেখা নাটকের নির্দেশনা করেছেন তপন দাস। বিভিন্ন সমাজের নারী-জীবনের ভিন্ন করুন চিত্র উঠে এসেছে এই নাটকটিতে।

আমি সেই মেয়ে

প্রথম দিনের তৃতীয় নাটক টালিগঞ্জ স্বপ্নমৈত্রীর ‘ভাগ্য বিচার‘। সুকুমার রায়ের লেখা অবলম্বন করে মৈনাক সেনগুপ্ত‘র নাট্যরূপে সুন্দর মঞ্চায়ন ঘটিয়েছেন ইন্দ্রনীল মুখার্জি। হাস্য রসে পরিপূর্ণ নাটকটি দর্শকের মনকে স্বতস্ফূর্ত করে তোলে এক লহমায়।

দ্বিতীয় দিনে প্রথম নাটক ‘অ-সুখ‘ মঞ্চায়ন করেন ‘মাচার মানুষ’ নাট্যদল। সুচরিতা বড়ুয়া চট্টোপাধ্যায়ের লেখা এবং নির্দেশিত নাটকটি সমাজের ভিন্ন অবস্থানের দুই নারী পুরুষের ভালোবাসার দ্বন্দ্বের একটি বাস্তব পরিণতির কথা তুলে ধরে। সুন্দর সেট, আলোর খেলা মুহুর্তের মধ্যে মুক্তাঙ্গন রঙ্গালয় মঞ্চ অন্য রূপ ধারণ করে।

অ-সুখ

দ্বিতীয় নাটক আয়োজক সংস্থা একটি প্রযোজনার ‘এক চিলতে রোদ্দুর‘। মীনাক্ষী সেন -এর গল্প অবলম্বনে নাট্যরূপ দিয়েছেন ভাস্কর পাল এবং কর্মশালা ভিত্তিক নাটকটি নির্দেশনা করেছেন তপন দাস।

এক চিলতে রোদ্দুর

দ্বিতীয় বর্ষের ‘একটি প্রযোজনা উৎসব‘এর শেষ নাটকটি ছিল সাউথ গড়িয়া আনন্দমহল-এর নাটক রবি ঠাকুরের কথায়-গানে-কবিতায় ‘মুক্তি‘। নাট্যরূপ দিয়েছেন অয়ন চট্টোপাধ্যায় এবং নির্দেশনা ও অভিনয়ে ছিলেন সৌরভ মুখোপাধ্যায়।

অতিমারীর ভয়কে উপেক্ষা করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মুক্তাঙ্গন রঙ্গালয় ‘একটি প্রযোজনা উৎসব‘-এর এই দুটো দিন দর্শক সমাগম যথেষ্ট লক্ষণীয়। আয়োজক সংস্থা যেমন আশাবাদী এবং আনন্দিত, তেমনই, এতদিন পরে মঞ্চে নাটক দেখতে পেরে যৎপরনায় খুশি দর্শকরাও।

Previous articleঝাড়গ্রামে কালো পতাকা দেখলেন বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী
Next articleসারদা তদন্তে রাজীবকে সহযোগিতা করতে বলেছে রাজ্য, জানালেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়