কাজ নেই স্বামীর, সন্তানকে পাশে বসিয়ে বাস চালাচ্ছেন পূজা

তিন সন্তানের মা। সংসার চালাতে পূজা দেবী এখন বাস ড্রাইভার। লকডাউনে (Lockdown) কাজ হারিয়েছেন পূজার স্বামী। তারপর থেকেই বন্ধ আয়। একসময় ট্যাক্সি ড্রাইভার ছিলেন তিনি। জম্মুর (Jammu) কাঠুয়ার (Kathua) বাসিন্দা পূজা। পূজার ছবি শেয়ার করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও উধমপুরের সাংসদ জিতেন্দ্র সিং (Jitendra Singh)।

সংবাদমাধ্যমকে নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন বছর ৩৩-এর পূজা। বলেন, ‘লকডাউন আমাদের জীবনে এক দুঃস্বপ্ন। আর কখনও যেন কারোর জীবনে এমন খারাপ দিন না আসে। ভগবানের কাছে এই প্রার্থনা করি। লকডাউন আমাদের শান্তি-ঘুম কেড়ে নিয়েছিল। দুবেলা দুমুঠো খাবার জোগাড় করতে গিয়ে প্রায় হিমশিম খাচ্ছিলাম। যেদিন প্রথম বাস চালিয়ে ৬০০ টাকা আয় করলাম সেই দিনটা আমার কাছে ছিল অন্যরকম। লকডাউনকে আমি চ্যলেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলাম। যদি ডাক্তার-নার্সরা এইসময়ে কাজ করতে পারেন তাহলে আমি কেন পারব না। আমার ছোট ছেলেকে ঘরে রেখে আসতে পারি না। তাই ওকে পাশের সিটে বসিয়ে রেখেই বাস চালাই। অতিমারির এমন সময়ে একটা কাজ পাওয়াই মুসকিল ছিল। কিন্তু একজন বাসচালক পালিয়ে যাওয়ায় বাসের চাবি হাতে পেয়ে যাই। আর তখন থেকেই বাস চালাচ্ছি।’

স্বামী কাজ করতেন হায়দরাবাদে (Hyderabad) এক নির্মাণ সংস্থায়। লকডাউনে সেই সংস্থা বন্ধ হয়ে যায়। পরিবারের আয় সামাল দিতে জম্মু-কাঠুয়া রুটে যাত্রীবাহী বাসে চালাচ্ছেন পূজা দেবী।

কাঠুয়ার বাসিন্দা হয়েও এখনও পর্যন্ত কাশ্মীর (Kashmir) যাওয়া হয়ে ওঠেনি পূজার। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, ‘সরকার যদি আমার এই প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে তাহলে অনুরোধ, আমাকে যেন তারা একবার কাশ্মীর যাওয়ার সুযোগ করে দেন। আমি এতদিনেও পাটনি টপের ওপারে যাইনি। আসলে সব সময় শুনেছি কাশ্মীর এই পৃথিবীতে একটা স্বর্গ। কিন্তু বছরে আমরা কখনওই ১৫,০০০ টাকার বেশি জমাতে পারিনি। সেই কারণে এখনও কাশ্মীর যাওয়া হয়নি!’

আরও পড়ুন-করোনা আক্রান্ত রামনগরের তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরি

Previous articleব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে ভূতুড়ে টাকা! তাজ্জব গ্রাহকরা
Next articleঅরুণ জেটলির মূর্তি উন্মোচন, ফিরোজ শাহতে একমঞ্চে অমিত শাহ-সৌরভ