তৃণমূলেই আছি’, পিকে’র প্রতিনিধিদের জানালেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল বিধায়ক

মাঝেমধ্যেই বেসুরো গাইছিলেন তিনি৷ তবে মঙ্গলবার প্রশান্ত কিশোরের (prasant kishore) চার প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকের পর ডায়মন্ড হারবারের বিধায়ক দীপক কুমার হালদার ( Dipak Halder) জানালেন, তৃণমূলেই (TMC) তিনি ছিলেন এবং তৃণমূলেই আছেন।

ফেসবুক পোস্টের পাশাপাশি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দীপকবাবু কিছুদিন ধরে জানাচ্ছিলেন নিজের ক্ষোভ-অভিমানের কথা। সেখানে স্পষ্ট ভাবেই বলেছেন, বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ার পর গত সাড়ে ৪ বছর ধরে তাঁকে কাজ করার সুযোগই দেওয়া হয়নি। তখনই জল্পনা শুরু হয়, তাহলে কি দীপক হালদার তৃণমূল ছাড়বেন ? ডায়মন্ড হারবারে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় তিনি অনুপস্থিত থাকায় জল্পনা আরও বৃদ্ধি পায়। এর পরই মঙ্গলবার ডায়মন্ড হারবারে গিয়ে দীপকবাবুর সঙ্গে কথা বলেন প্রশান্ত কিশোরের প্রতিনিধিরা।
পিকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাঁর আলোচনার নিয়ে কোনও কথা না বললেও দীপক হালদার বলেছেন,”তৃণমূলেই ছিলাম, এখনও তৃণমূলেই আছি।”
তবে পাশাপাশি এ কথাও বলেছেন, “১৯৮৫ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সৈনিক হয়ে যুব কংগ্রেসের কর্মী হিসেবে কাজ করেছি। ১৯৯৩ সালে নির্বাচিত পঞ্চায়েত প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছি। ২০১১ ও ২০১৬, দু’বার তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে ডায়মন্ড হারবারের বিধায়ক হয়েছি। নেত্রীর নির্দেশ মতো কাজ করেছি। আজ আমার এই পরিস্থিতি হওয়ায় বড় কষ্ট হয়।”তিনি বলেছেন, “ভবিষ্যতে আদৌ আর রাজনীতি করব কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো ১৫ জানুয়ারির পর।” সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় অনুপস্থিতির বিষয়ে তনি বলেন, “ওই সভায় উপস্থিত থাকার জন্য হোয়াটসঅ্যাপে আমাকে একটা মেসেজ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু, দলের তরফে কিছুই জানানো হয়নি। সেই বিষয়টি আমাকে যথেষ্ট কষ্ট দিয়েছে। তাই আর যাইনি।”

আরও পড়ুন:শুভেন্দুর পদযাত্রার রাতেই নন্দীগ্রামে তৃণমূল অফিস ভাঙচুর, ব্যাপক উত্তেজনা

Previous articleশুভেন্দুর পদযাত্রার রাতেই নন্দীগ্রামে তৃণমূল অফিস ভাঙচুর, ব্যাপক উত্তেজনা
Next article‘তেজস্বী মুখ্যমন্ত্রী হোক, আপনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সমর্থন করব’, নীতীশকে RJD-র প্রস্তাব