ঘাসফুলকে টক্কর দিয়ে নবান্ন দখলের লড়াইয়ে ‘লক্ষ্য সোনার বাংলা’ কর্মসূচি বিজেপির

একুশের নির্বাচনকে মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল(TMC)। পিছিয়ে নেই বিজেপিও। রাজ্যকে ‘সোনার বাংলা'(Sonar Bangla) হিসেবে গড়ে তোলার ডাক দিয়ে গিয়েছেন অমিত শাহ(Amit Shah)। সম্প্রতি এক জনসভায় তার দাবি, ‘পাঁচটা বছর সময় দিন সোনার বাংলা করে দেব।’ তবে প্রতিশ্রুতি দিলেই তো আর হবে না। কীভাবে গড়ে উঠবে বিজেপির স্বপ্নের সোনার বাংলা? তারই খোঁজ পেতে এবার মাঠে নামল গেরুয়া শিবির। বুধবার বিজেপির তরফে ‘লক্ষ্য সোনার বাংলা'(laksh Sonar Bangla) নামক এক কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক সূচনা হলো। আর এই কর্মসূচিকে হাতিয়ার করে রাজ্যের ২৯৪ টি কেন্দ্রে মানুষের দুয়ারে পৌছবে বিজেপির বিশেষ দল।

বিজেপি তরফে জানানো হয়েছে ১০ টি বিষয় নিয়ে ‘লক্ষ্য সোনার বাংলা’ কর্মসূচি শুরু করা হয়েছে। সেগুলি হল- সুশাসন, অর্থনীতি, দারিদ্র, কৃষকদের উন্নয়ন, পরিকাঠামো, যুব সমাজের কর্মসংস্থান, নারী নিরাপত্তা, সবকা সাথ সবকা বিকাশ, সাংস্কৃতিক উত্তরণ ও শিক্ষার নতুন দিশা। মোট ৪০ টি দল গঠন করা হয়েছে এই কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে। এই দল রাজ্যের ২৯৪ বিধানসভা কেন্দ্রে মানুষের দোরে দোরে পৌছবে। জানুয়ারি মাসের মধ্যেই সফলভাবে শেষ করা হবে এই কর্মসূচি। সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষের কাছ থেকে এর মাধ্যমে মতামত চাইবে বিজেপি। বুধবার বঙ্গ বিজেপি সদর দপ্তরে ‘লক্ষ্য সোনার বাংলা’ কর্মসূচি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন বিজেপি রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত। উপস্থিত ছিলেন, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টর অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় ও রন্তিদেব সেনগুপ্ত।

আরও পড়ুন:বিজেপি যোগের জল্পনার মাঝেই এবার সৌরভের জমি ফেরত নিচ্ছে রাজ্য

সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি নেতা রন্তিদেব সেনগুপ্ত বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে কোন ভাবেই আমরা নেতিবাচক রাজনীতি করতে চাই না। এই কর্মসূচিকে হাতিয়ার করে রাজ্যের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে পৌঁছাব আমরা। বাংলার সার্বিক উন্নয়নের জন্য আমরা কী ভাবছি সেটা তুলে ধরব তাদের কাছে। পাশাপাশি তাদের ভাবনার বিষয় গুলি ও জানার চেষ্টা করবো আমরা।’