একইসুরে ‘বাংলা থেকে তৃণমূলকে হাওয়া করে দেওয়ার’ ডাক দিলেন দিলীপ-শুভেন্দু

বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই শুভেন্দু অধিকারী একের পর এক সভায় বলে চলেছেন, তিনি আর দিলীপ ঘোষ অখণ্ড মেদিনীপুরের ভূমিপুত্র। দু’জনে মিলে দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের মোট ৩৫টি আসনের সব ক’টিতেই বিজেপির জয় নিশ্চিত করবেন। সেই বার্তার পর রবিবারই প্রথম ঝাড়গ্রামে একমঞ্চে শুভেন্দু-দিলীপ৷

ঝাড়গ্রামের চা-চক্রে দিলীপ ঘোষ, রবিবার

এবং দু’জনই তাঁদের ভাষণে জোর গলায় একে অন্যের ভূয়সী প্রশংসা করে একইসুরে ‘বাংলা থেকে তৃণমূলকে হাওয়া করে দেওয়ার’ ডাক দেন৷

শুভেন্দু অধিকারী বলেন, বাংলায় পদ্ম ফোটানোর জন্য দিলীপদা’র সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন তিনি৷ আর দিলীপ ঘোষ বলেন, “অবিভক্ত মেদিনীপুরের সব আসনেই বিজেপি জিতবে। যেটুকু অনিশ্চয়তা ছিল তা শুভেন্দুদা আসার পর নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে।”

দিলীপ ঘোষের আগে বক্তৃতা দিতে উঠে শুভেন্দু বলেন, ‘কলকাতা এবং দিল্লিতে একই দল থাকবে৷ সুশাসন ফিরবে, বেকাররা চাকরি পাবে৷’ এদিনের সভাতেও শুভেন্দু যথারীতি নিশানা করেন তৃণমূলকেই৷ কটাক্ষের সুরে বলেন, “এখন গরু পাচারকারী এনামুল-ই হচ্ছে তৃণমূল৷ জঙ্গলমহলের তৃণমূল নেতারা দুর্নীতিতে ডুবে আছেন৷ যাঁদের সাইকেল ছিল না তাঁরা এখন দু’- তিনটে স্করপিও গাড়ির মালিক৷” চ্যালেঞ্জের সুরে তিনি বলেন, “জঙ্গলমহলকে আমি হাতের তালুর মতো চিনি৷ আগামী নির্বাচনে ঝাড়গ্রামের ৪টি বিধানসভা কেন্দ্রেই ৫০ থেকে ৮০ হাজার ভোটে বিজেপি জিতবে”৷ তাঁর বক্তব্য, জঙ্গলমহলে তৃণমূল কংগ্রেসকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য তিনি কী করেছেন, তা সবাই জানেন৷ কিন্তু দক্ষিণ কলকাতার ‘দেড়জনের কোম্পানির’ জন্য তাঁকে জঙ্গলমহল থেকে দূরে সরে যেতে হয়েছে৷ ঝাড়গ্রামে সভায় এ ভাবেই তৃণমূলকে বিদ্ধ করেন শুভেন্দু অধিকারী৷
দিলীপবাবুর বক্তব্যেও শুভেন্দুর কথারই প্রতিধ্বনি শোনা যায়৷ দিলীপ ঘোষ বলেন, “২০০-র বেশি আসন নিয়ে এবার বিজেপি নবান্নে যাবে৷ বাংলা শাসন করবে বিজেপি৷ তৃণমূল মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে৷ পরিবর্তনে কারও উপকার হয়নি”।

এদিনের সভামঞ্চেও ‘যোগদান মেলা’ অনুষ্ঠিত হয়৷ বেশ কিছু মানুষ এদিন বিজেপিতে যোগ দেন৷ এর মধ্যে শুভেন্দু-অনুগামীও আছেন৷
রবিবারের এই সভাস্থল ছিলো ঝাড়গ্রাম শহর থেকে কিছুটা দূরে গোপীবল্লভপুরের ২ নম্বর ব্লকের বেলিয়াবেড়ায়। শনিবার রাতেই ঝাড়গ্রামে পৌঁছে যান দিলীপ ঘোষ৷ রবিবার সকালে সভাস্থলের কাছে প্রাতর্ভ্রমণে বার হয়ে রঘুনাথপুরের মডেল রাস্তার কাছে চা-চক্র কর্মসূচিতে অংশ নেন দিলীপ ঘোষ। সঙ্গে ছিলেন ঝাড়গ্রামের সাংসদ কুনার হেমব্রম, জেলা সভাপতি সুখময় সৎপতি-সহ অন্যান্য নেতারা।

Previous articleতৃতীয় টেস্টের আগে কোয়ারেন্টাইনে রোহিত, শুভমনরা, জৈব সুরক্ষা বলয় বিতর্কে ক্রিকেটারদের পাশে দাড়াল বিসিসিআই
Next articleকী এই ট্রিপেল ভেসেল ডিজিজ? আগামিদিনে নিয়ম মেনে চলতে হবে সৌরভকে, বললেন ডা. কুণাল সরকার