মুকুল রায় (Mukul Roy) ঘনিষ্ঠ রাজ্য কমিটির এক যুবমোর্চা (BJYM) নেতাকে নিয়েই এবার গোঁসা শোভন বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Boisakhi Banerjee)। ওই নেতা তো তাঁর সমতুল্য নয়, তাহলে ওই নেতা কেন কলকাতা জোনের কমিটিতে? আর তাতেই নাকি অভিমান করে বিজেপির (BJP) মিছিলে (Rally) যোগদান না করার সিদ্ধান্ত নেন বৈশাখীদেবী। এবং বান্ধবীর মন রাখতে নিজেও শেষ পর্যন্ত মিছিলে এলেন না শোভন (Sovon Chatterjee)। এমনই গুঞ্জন রাজ্য বিজেপির অন্দর মহলে। শুধু গুঞ্জন নয়, শোভন-বৈশাখীর এমন ভূমিকায় ক্ষোভে ফুঁসছে গেরুয়া শিবিরের একটা বড় অংশ। তাঁদের বক্তব্য, শোভন-বৈশাখীর এমন নাটকে বারবার বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে দলকে। দলের মুখ পুড়েছে। এবার আবার অন্য নাটক।

প্রসঙ্গত, এদিন মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ যে যুবনেতাকে নিয়ে বৈশাখীর প্রবল আপত্তি ছিল, সেই নেতার মিছিলে অংশ নেননি। অথচ, বিজেপির তরফে ওই যুবনেতার নামও তালিকায় ছিল। শোনা যাচ্ছে, শোভন-বৈশাখী যাতে মিছিলে অংশ নেন, তার জন্য ওই যুবনেতাকে না আসার আর্জি জানিয়ে ছিল দলীয় নেতৃত্ব। তারপরও শোভন-বৈশাখী ডুবিয়েছে দলকে। না নিয়ে গোটা গেরুয়া শিবির এই জুটির উপর তিতিবিরক্ত।

বিজেপি সূত্রে আরও খবর, এদিনের পর আর শোভন-বৈশাখীর কোনও আবদারকে বা শর্তকে গুরুত্ব না দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা শুরু হয়েছে। তাঁতে শোভন-বৈশাখী দলে থাকলো, কী গেলো কিছু আসে যায় না বলেই একটা মহল থেকে দাবি তোলা হয়েছে। তাঁদের যুক্তি, দিল্লিতে গিয়ে ঢাকঢোল পিটিয়ে বিজেপিতে যোগদান করলেও, গত দেড় বছরে দলের হোমে-যজ্ঞে কিছুতেই কাজে আসেনি শোভন-বৈশাখী। তাই বিধানসভা ভোটের আগে ফের দলকে বিড়ম্বনায় ফেলতে পারেন তাঁরা। সুতরাং, অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে এই জুটিকে অবিলম্বে প্রত্যাখ্যান করুন শীর্ষ নেতৃত্ব, অন্যথায় আবারও বিজেপির মুখ পুড়বে শোভন-বৈশাখীর সৌজন্যে!

আরও পড়ুন- কেন্দ্রের কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্প বাংলায় চালু করতে আপত্তি নেই, জানালেন মমতা

