মাঝরাতে নন্দীগ্রামে গিয়ে শহিদদের শ্রদ্ধা জানালেন শুভেন্দু

নন্দীগ্রাম আন্দোলনের ‘প্রথম শহিদ দিবস’ বলে চিহ্নিত ৭ জানুয়রি৷ কারন,
২০০৭ সালের ৭ জানুয়ারি ভোরবেলায় ভাঙাবেড়া সেতুর কাছে ৩ জনের দেহ পাওয়া গিয়েছিলো৷
ওদিকে আবার ২০১১ সালের এই ৭ জানুয়ারি তারিখেই নেতাই গ্রামে হার্মাদ-হানায় শহিদ হয়েছিলেন-
◾সরস্বতী ঘোড়াই
◾ফুলকুমারী মাইতি
◾গীতালি আদক
◾আরতি মণ্ডল
◾শ্যামানন্দ ঘোড়াই
◾সৌরভ ঘোড়াই
◾অরূপ পাত্র
◾ধ্রুব গোস্বামী
◾ধীরেন সেন।

২০২১ সালের ৬ জানুয়রি রাত ১২টার একটু পর ২০০৭ সালের ৭ জানুয়ারি নন্দীগ্রামের ‘বশ‍্যতা বিরোধী আন্দোলন’-এর প্রথম শহিদ ভরত মন্ডল, বিশ্বজিৎ মাইতি, শেখ সেলিম-সহ নন্দীগ্রাম আন্দোলনের ৪১ জন শহিদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে নন্দীগ্রামের ভাঙাবেড়ায় স্থাপন করা শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শুভেন্দু অধিকারী ৷ শহিদ স্তম্ভের সামনে দাঁড়িয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে শুভেন্দু বলেন, “শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে আমি নন্দীগ্রামে বিশেষ কয়েকটি দিবস পালন করি। ২০০৭ সালের ৮ জানুয়ারি নিজের হাতে শেখ সেলিমের দেহ তুলেছিলাম। সে কথা ভুলে যেতে পারিনা৷ নন্দীগ্রামের শহিদদের শ্রদ্ধা জানানোর এই কর্মসূচি চলবে। এই কর্মসূচির সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক নেই৷ দল,মত এবং ধর্মের উর্ধ্বে এই কর্মসূচি।” একই সঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “কেউ কেউ চোখ রাঙিয়ে ঘোষণা করেছিলেন, আমাকে এই শহিদ বেদী চত্বরেই ঢুকতে দেবে না। ওরা জানেনা, রক্তচক্ষু দেখিয়ে আমাদের আটকানো যাবে না। আমি ছিলাম, আছি এবং থাকবো।” শুভেন্দু বলেন, “আগে অনেকেই এসব দিনে এখানে আসতো না৷
ভোট আসছে, তাই এ বার আসছেন৷ কেন আসছেন বুঝতেই পারছেন।” একইসঙ্গে তিনি ওই মাঝরাতেই ঘোষণা করেন, “কাল নেতাই যাব। সকাল সকাল বেরোতে হবে।” শীতের মাঝরাতের এই কর্মসূচিতে সামিল হয়েছিলেন অসংখ্য মানুষ৷

ওদিকে, আজ বৃহস্পতিবার, নন্দীগ্রাম এবং নেতাই দুই স্থানেই তৃণমূল কংগ্রেস শহিদের স্মৃতিতে আলাদা কর্মসূচি নিয়েছে৷ নন্দীগ্রামে আজ তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বকসি সভা করবেন৷

Previous articleসিডনিতে বৃষ্টি ভিলেন, খেলা সাময়িকভাবে বন্ধ
Next articleসৌদি থেকে অবৈধ বাংলাদেশী শ্রমিকদের দেশে ফেরাতে উদ্যোগ হাসিনা সরকারের