লক্ষ্য নেপালি ভোট: গুরুংয়ের ‘বন্ধু’ বলে পরিচয় দিচ্ছেন বার্লা!

দীর্ঘদিন ধরেই জল্পনা বিজেপিতে নাকি ‘ভালো নেই’ জন বার্লা। কারণ ইদানীং প্রকাশ্যেই বেশ বেসুরো তিনি। আলিপুরদুয়ারের (Alipurduwar) সাংসদ জন বার্লা (John Barla) কি পদ্ম ছেড়ে ঘাসফুলে আসছেন?

প্রকাশ্যে এবং সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলছেন জন বার্লা। সেখানে দলের বিরুদ্ধে কোনও ক্ষোভের কথা না বললেও এমন একজনের কথা তিনি বলেছেন যিনি এখন উত্তরবঙ্গের রাজনীতিতে বিজেপির (Bjp) সব থেকে বড় বিরোধী। তিনি বিমল গুরুং (Bimal Gurung)।

গুরুংয়ের প্রতি কী বার্তা দিয়েছেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ? তিনি জানিয়েছেন, “বিমল গুরুঙের সঙ্গে মন থেকে বন্ধুত্ব করেছি। তাঁর সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিল, বন্ধুত্ব থাকবে। ২০০৭ সাল থেকে আমরা বন্ধু। রাজনীতিতে চড়াই উতরাই থাকে। সময় আসলে সব বোঝা যাবে”। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে গুরুংয়ের প্রসঙ্গে একথা জানিয়েছেন তিনি। এনডিএ (Nda) জোট ছেড়ে তৃণমূলকে (Tmc) প্রকাশ্যে সমর্থনের কথা জানিয়েছেন বিমল গুরুং। এমনকী, বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচারেও নেমেছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে একজন বিজেপি সাংসদের এই মন্তব্যে ফের জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

অনেকের মতে, বার্লা বুঝতে পেরে গিয়েছেন হাওয়া ঘুরছে। ২০১৯-এ উত্তরবঙ্গে বিজেপির পক্ষে যে হাওয়া ছিল তা আর এখন নেই। বরঞ্চ এখন বিজেপি বিরোধিতারই পাল্লাটাই ক্রমশ ভারী হচ্ছে। আলিপুরদুয়ার লোকসভা আসনের মধ্যে যে ৭টি বিধানসভা কেন্দ্রে গত লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি লিড পেয়েছিল এবার সেই লিড ধরে থাকা বিজেপির কাছে চাপের বলে মনে করা হচ্ছে।

এবার গুরুং বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচারে নেমেছেন। আশা পাহাড় আর ডুয়ার্স মিলিয়ে ১৮টি আসন তিনি তুলে দেবেন তৃণমূলনেত্রীর হাতে। জন বার্লা জানেন গুরুংয়ের সঙ্গে দোস্তি না রাখলে বা নেপালি ভোট হাতছাড়া হলে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে জয় কার্যত অসম্ভব। তাই গুরুং বিজেপি বিরোধী হলেও তিনি গুরুং বিরোধী হতে চান না। এখন দেখার বার্লার এই বন্ধুত্বের বার্তাকে কীভাবে নেন গুরুং।

 

Previous articleজইশ-ই-মহম্মদ প্রধানের বিরুদ্ধে পাকিস্তানে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি
Next articleসংক্রান্তিতেই ফের নামবে পারদ