“গণধর্ষণ (Gangrape) এড়ানো সম্ভব হত, যদিও ওই মহিলা (Victim) রাতের বেলা একা না বেরোতেন।” না কোনও ধর্মীয় গুরু কিংবা রাজনৈতিক নেতা নয়, উত্তরপ্রদেশের বদাউনে (Badaun, Uttarpradesh) গণধর্ষণের ঘটনা সম্পর্কে বলতে গিয়ে এমনই মন্তব্য করেছেন খোদ মহিলা কমিশনের (Women commission) এক সদস্য। তাঁর কথায়, “আমি বারবার মহিলাদের বলেছি যে কোনও কারণেই যেন সন্ধ্যের পর তাঁরা বাইরে না বেরোন। আমি মনে করি যদি তিনি একা বাইরে না গিয়ে, পরিবারের কোনও শিশুকে সাথে নিয়ে যেতেন, তবে সম্ভবত এই ঘটনা এড়ানো যেত। যদিও ফোন কলের মাধ্যমে তাঁকে ডেকে আনার আগে থেকেই এই পরিকল্পনা করা হয়েছিল।” সাংবাদিক বৈঠকে (Press Meet) মন্তব্য কমিশনের সদস্য চন্দ্রমুখী দেবীর।
যোগী রাজ্যে বারবার মহিলাদের ওপর নৃশংস অত্যাচারের ঘটনা যখন দেশজুড়ে ক্ষোভের সঞ্চার করেছে তখন জাতীয় মহিলা কমিশনের এই মন্তব্য স্বভাবতই আগুনে ঘি ঢালে। রাজ্যের নারী নিরাপত্তা নিয়ে এক নারী তথা, জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যের এমন মন্তব্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। চাপের মুখে বাধ্য হয়েই কমিশনের চেয়ারম্যান রেখা শর্মা বলেন, ‛‛আমি জানিনা কেন আমার সহকর্মী এই মন্তব্য করেছেন। তবে এই মন্তব্য কমিশনের নয়।”
আরও পড়ুন : বদায়ুঁ ধর্ষণ কাণ্ডে অবশেষে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত মন্দিরের পুরোহিত
কি ঘটেছিল সেদিন?
গত রবিবার, স্থানীয় মন্দির থেকে উদ্ধার হয় ৫০ বছর বয়সী এক অঙ্গনওয়াড়ি (Anganwadi) কর্মীর মৃতদেহ। পরীক্ষার পর জানা যায়, নির্মমভাবে গণধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে তাঁকে। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় মন্দিরের এক পুরোহিত এবং তাঁর দুই সঙ্গীকে।
বৃহস্পতিবার এনসিডব্লিউয়ের (NCW) দলের সঙ্গে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন উত্তরপ্রদেশের মহিলা কমিশনের সদস্য চন্দ্রমুখী দেবী। বুধবার ময়না তদন্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এসএসপি (SSP) সংকল্প শর্মা। ইতিমধ্যেই মামলায় শিথিলতার অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছে উঘাইতি থানার স্টেশন হাউস অফিসারকে।