Thursday, December 4, 2025

ফের ঘাসফুলের ঝুলিতে মিম নেতা! এবার তৃণমূলে যোগদান সাংগঠনিক প্রধানের

Date:

Share post:

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, একক বৃহত্তম দল হয়েও মিমের (AIMIM) জন্যই বিহারের ( Bihar) ক্ষমতায় আসতে পারেনি লালুপ্রসাদের (Lalu Prasad Yadav) দল। মুখ্যমন্ত্রীর (CM) কুরশিতে বসতে পারেননি তেজস্বী যাদব (Tejswi Yadav) বিহারে আরশাদ উদ্দিন ওয়েসির (Arshad Uddin Oyesi) দল নিজেদের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করেছে। বিহারে তারা পরোক্ষে হাত শক্ত করেছে বিজেপি-নীতিশ কুমার জোটের।

এবার লক্ষ্য বাংলা। তাই বাংলার ভোট বাজারে ইতিমধ্যেই ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়েছে হায়দরাবাদের রাজনৈতিক দল মিম বা অল ইন্ডিয়া মজলিশে ইত্তেহাদুল মুসলেমিন। এই দলটি দীর্ঘদিন শুধুমাত্র হায়দরাবাদ ও পার্শ্ববর্তী এলাকাতেই ভোটের লড়াই লড়ে এসেছে। দলের প্রধান তথা সাংসদ আসাউদ্দিন ওয়েসি ইতিমধ্যেই রাজ্যে ঘুরে গিয়েছেন। বিধানসভা ভোটে প্রার্থী দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন।

আরও পড়ুন : পুষ্পবৃষ্টিতে ৭৫০ মিটারের রোড শো নাড্ডার, রদবদল হল কর্মসূচি

খুব স্বাভাবিকভাবেই মিম এ রাজ্যে প্রার্থী দিলে বিজেপি (BJP) বিরোধী সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কে থাবা পড়বে। তাতে সমস্যায় পড়তে পারে শাসক দল তৃণমূল (TMC)। সুবিধা পাবে বিজেপি। কিন্তু বিহার ভোটের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে আগে থেকেই সতর্ক ঘাসফুল শিবির। ওয়েসির দল যাতে বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দিতে না পারে, তার জন্য মিমের একের পর এক নেতা-কর্মীকে নিজেদের দিকে টেনে আনছে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দলের নেতাদের দাবি, সচেতন সংখ্যালঘু নেতারা মিম ছেড়ে চলে আসছেন তৃণমূলে। আগেই মিম ছেড়ে জোড়াফুলে এসেছেন আনোয়ার হোসেন পাশা। আর এদিন এলেন শেখ আব্দুল কালাম (Sk Abdul Kalam)।

আজ, শনিবার কলকাতার তৃণমূল ভবনে কালামের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দিয়ে তাঁকে দলে স্বাগত জানান রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন। শেখ আব্দুল কালামের দাবি, তিনি এ রাজ্যে মিমের সাংগঠনিক প্রধান। এদিন আব্দুল কালামের সঙ্গে মিমের কয়েক হাজার কর্মী-সমর্থক তৃণমূলে নাম লিখিয়েছেন বলে দাবি রাজ্যের শাসকদলের।

এদিন কালাম তৃণমূলে যোগদান করে জানান, “বাংলায় শান্তির পরিবেশে ছিলাম, হঠাৎ এল বিষাক্ত হাওয়া, তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতকে শক্তিশালী করার জন্য মিম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলাম।”

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে মিমের সাংগঠনিক প্রধান আরও বলেন, “বিজেপি জিতলে বাংলার তো ক্ষতিই হবে, রাজ্যের সংখ্যালঘু মানুষদেরও চূড়ান্ত ক্ষতি হবে। তাই সংখ্যালঘু মানুষদের কাছে আবেদন রাখবো বিজেপিকে একটিও ভোট নয়। এই রাজ্যে বিজেপিকে ঠেকাবার মতো ক্ষমতা রয়েছে কেবলমাত্র তৃণমূল কংগ্রেস ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের। দেশের কোনও সরকার ১০ কোটি মানুষকে বিনাপয়সার চিকিৎসা পরিষেবা দেবে না। বিনা পয়সার রেশন দেবে না। কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্য সাথী সবুজসাথী দেবে না।”

Advt

spot_img

Related articles

হেমন্ত সোরেন যোগ দিচ্ছেন NDA-তে! জবাব দিলেন কংগ্রেসের বেণুগোপাল

পাঁচদিনের জন্য দিল্লি গিয়েছিলেন হেমন্ত সোরেন। এমন নয় প্রথমবার। তাতেই গোদি মিডিয়া তা নিয়ে নানা গুঞ্জন শুরু করে...

কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন! দ্রুত কমছে এসআইআর-এ ভোটারহীন বুথ 

এসআইআর-এর ভোটারহীন বা ‘শুষ’ বুথগুলির সংখ্যা দ্রুত কমতে শুরু করেছে। মাত্র ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে যে সংখ্যা ছিল ২২০৮,...

বহুতল সমস্যা সমাধানে সর্বদা পাশে রাজ্য সরকার: জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

বহুতল সমস্যা সমাধানে রাজ্য সরকার তথা তৃণমূল কংগ্রেস পাশে থাকবে। আরও স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার...

রাজ্যের শিক্ষক-কর্মীদের জন্য সুখবর: এবার মিলবে অতিরিক্ত ১০% মহার্ঘ ভাতা

স্কুল শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হল যে রাজ্যের সরকারি ও সরকারপোষিত স্কুল এবং সংস্কৃত টোলের শিক্ষক...