দেবী থাকবেন শয়নে, নাড্ডার সর্বমঙ্গলা মন্দির দর্শন নিয়ে বাড়ছে জটিলতা

ডিসেম্বরে ডায়মন্ড হারবার সফরের পর আজ ফের রাজ্যে পা রেখেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা(JP Nadda)। তার বর্ধমান কর্মসূচি অনুযায়ী এদিন রোড শো এর পর সর্বমঙ্গলা মন্দির দর্শনের কথা রয়েছে নাড্ডার। তবে সেই কর্মসূচি নিয়ে বাড়ছে জটিলতা। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী দুপুর ৩টে ৫মিনিটে ওই মন্দিরে যাওয়ার কথা রয়েছে সর্বভারতীয় সভাপতির(BJP President)। তবে দুপুর ১টা থেকে ৪টে পর্যন্ত মন্দিরের দেবী থাকেন শয়নকক্ষে। আর সেই সময় মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয় না কাউকেই। যার ফলে নাড্ডা মন্দিরে গেলেও দেবী দর্শন সম্ভব নয়। পাশাপাশি এই ভিভিআইপি সফর সম্পর্কে আগাম কোনও খবর মন্দির কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয়নি বলেও জানানো হয়েছে। ‌মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ব্যক্তি যতই ভিভিআইপি হোক নিয়মের ব্যতিক্রম কোনভাবেই করা যাবে না। ফলে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি আদেও দেবী দর্শন করতে পারবেন কিনা সেদিকে নজর রয়েছে সকলের।

বিজেপি সূত্রে খবর, শনিবার অন্ডাল বিমানবন্দর(Andal airport) থেকে সোজা যাবেন কাটোয়ায় যাবেন জেপি নাড্ডা। সেখানে রাধাগোবিন্দ মন্দিরে পুজো দেওয়ার কথা রয়েছে তার। এরপর ১১টা ৫০ নাগাদ কাটোয়ার জগদানন্দপুরে ‘কৃষক সুরক্ষা অভিযান’ কর্মসূচির সূচনা করবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। এই কর্মসূচিতেই গ্রামের পাঁচ কৃষকের বাড়ি থেকে এক মুঠো করে চাল সংগ্রহ করবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। দুপুর একটায় কৃষক পরিবারে খাওয়া দাওয়া সেরে ৩টে নাগাদ সেখান থেকে চলে আসবেন বর্ধমান শহরে। সেখানে সর্বমঙ্গলা মন্দিরে পুজো দিয়ে বীরহাটা থেকে কার্জন গেট পর্যন্ত রোড শো রয়েছে নাড্ডার। তবে এই মন্দিরে নাড্ডার পুজো নিয়ে জটিলতা বাড়ছে। মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে যেহেতু ওই সময় দেবীবরণ কক্ষে থাকেন তাই কাউকেই দেবী দর্শনের অনুমতি দেওয়া হয় না।

আরও পড়ুন:এমন “হতাশ” শুভেন্দুকে আগে দেখেনি নন্দীগ্রাম!

তবে বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, যদি দেবী দর্শন সম্ভব না হয় তাহলে সেখান থেকে হোটেলে ফিরে রাজ্য কোর কমিটির সঙ্গে বৈঠক করবেন জেপি নাড্ডা। এরপর করবেন সাংবাদিক সম্মেলন। সাড়ে ৭ টা নাগাদ ফের অন্ডাল বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন বিজেপি নেতা।

Advt

Previous articleএমন “হতাশ” শুভেন্দুকে আগে দেখেনি নন্দীগ্রাম!
Next articleহাসপাতালের শৌচাগারে রোগীর রহস্যমৃত্যু, প্রশ্নের মুখে কর্তৃপক্ষ