‘আচরণবিধি চালু হলে বুথে বসানোর লোকও পাবে না’, পুরুলিয়ায় তৃণমূলকে বিঁধলেন শুভেন্দু

“আদর্শ আচরণবিধি চালু হলে একুশের নির্বাচনে বুথে বসানোর লোক পাবে না তৃণমূল৷ বিধানসভা ভোটে পুরুলিয়ার ৯টা আসনই জিতবে বিজেপি।”

দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামের পর রবিবার পুরুলিয়ায় (Purulia) দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে নিজের পুরোনো দলকে এভাবেই বিঁধলেন বিজেপি (BJP) নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary) এদিন কাশীপুরের ন’পাড়া পেট্রোল পাম্প থেকে হাটতলা পর্যন্ত রোড-শো করেন তিনি। পরে পথসভাও করেন৷মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) জনসভার আগেই এবার পুরুলিয়ায় সভা সারলেন শুভেন্দু অধিকারী। একইসঙ্গে এদিনও তিনি ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রীর সমাবেশের পরেই জয়পুরে সভা করবে বিজেপি৷ প্রসঙ্গত, পুরুলিয়ার যে এলাকায় এদিন বিজেপির পদযাত্রা, সভা হয়, সেই এলাকা একসময়ে তৃণমূলের (TMC) গড় হিসেবে পরিচিত। তৃণমূলে থাকার সময়ে শুভেন্দু নিজে জঙ্গলমহলে শাসকদলের পর্যবেক্ষক ছিলেন। কিন্তু গত লোকসভা ভোটে এই জঙ্গলমহলে কার্যত শূন্য হয়ে গিয়েছে তৃণমূল। সব আসনই ছিনিয়ে নিয়েছে বিজেপি। পুরুলিয়া থেকে জিতেছেন বিজেপির জ্যোর্তিময় সিং মাহাতো। দলবদলের পর এবার সেই পুরুলিয়াতে নতুন পরিচয় নিয়ে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দিলেন শুভেন্দু।

এদিন শুভেন্দু বলেছেন,

◾মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুরুলিয়া জেলার সভার পালটা সভা আমি করবো পুরুলিয়ার জয়পুরে। মিথ্যার জবাব পরের দিনই দেব।

◾পঞ্চায়েত ভোটে মধ্যরাতের গণনায় কারচুপি করেছিলো তৃণমূল।কীভাবে পঞ্চায়েতের ক্ষমতা দখল করেছে তৃণমূল, তা আমি জানি। সব ফাঁস করবো ভোটপ্রচারে৷

◾প্রশাসনকে ব্যবহার করে সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূল। মিথ্যে মামলা দিচ্ছে। আমি জানি এসব। ঠিক সময়ে সব বলবো৷

◾লোকসভা ভোটে মানুষ পদ্মফুলে ভোট দিয়েছে, আগামীতেও দেবেন। মানুষ এখানকার বিধায়ককে দূরে সরিয়ে দিয়েছেন।

◾এত বিশাল সভা দেখে তৃণমূল দিশেহারা হয়ে পড়েছে। আজ বিজেপি কর্মীরা কেউ প্ররোচনায় পা দেননি।

◾ব্যালটের বান্ডিল বদলে জোড়াফুল করত। আমি তৃণমূলে ছিলাম, জানি কীভাবে সব হত। তৃণমূল পদ্মফুলের বান্ডিলকে জোড়া ফুলে বদলে পঞ্চায়েত জিতেছে এই অঞ্চলে।

◾তৃণমূল এখন বিনয় মিশ্রের মতো তোলাবাজে ভরে গিয়েছে৷ জেলা থেকে পাথর আর কয়লার তোলার টাকা চলে যাচ্ছে কলকাতার বড় তোলাবাজের হাতে৷

◾স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড যাদের আছে তারা ক’জন চিকিৎসা পেয়েছে? পরিসংখ্যান দিক রাজ্য। বাংলায় কেন আয়ুষ্মান ভারত কার্যকর করা হল না, জবাব দিন মুখ্যমন্ত্রী ৷

◾গোটা রাজ্য চালাচ্ছে দক্ষিণ কলকাতার মুষ্টিমেয় কয়েকজন। জেলার কোনও ভূমিকাই নেই৷

◾পশ্চিম মেদিনীপুর একজন পতি বলে লোক আছে, তোলা তুলত চাকরি দেওয়ার নাম করে। পূর্ব মেদিনীপুর ভগবানপুরে একজন প্রধান পদবীর লোক আছেন৷ এরা টাকা তুলে কলকাতায় পাঠাতো৷

◾পুরুলিয়ায় ১৫ দিন অন্তর আমি সভা করবো৷ বিজেপিকে হৃষ্টপুষ্ট, বলিষ্ঠ করতে আরও বেশি কাজ করবো৷

এদিন শুভেন্দুর সভা শুরু হতেই বিপত্তি দেখা যায়। সভাস্থলে একটি গাড়ি ঢুকে পড়ে, গাড়িটিতে তৃণমূলের পতাকাও লাগানো ছিল। শুভেন্দু বলেন, স্থানীয় পুলিশকে তো দেখা যাচ্ছে না। কারণ এখানে তোলাবাজ পুলিশ এসেছে। লালার কম্পিউটারে এই এসপি’র নাম আছে। এই মিটিং দেখে পুলিশের মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুন- কৃষকদের অপমান করে মন জয় হয় না, নাড্ডাকে হুঁশিয়ারি পার্থর

Advt

Previous articleকৃষকদের অপমান করে মন জয় হয় না, নাড্ডাকে হুঁশিয়ারি পার্থর
Next articleপ্রজাতন্ত্র দিবসে আসতে পারবেন না বরিস, পরিবর্তিত অতিথি সুরিনামের প্রেসিডেন্ট