শনিবার সকালে দিল্লি উড়ে যাচ্ছেন শতাব্দী, বিজেপি যোগের জল্পনা তুঙ্গে

নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা বাড়িয়ে আগামীকাল, শনিবারই দিল্লি যাচ্ছেন বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়৷ শনিবার সকাল ৭টার বিমানে তিনি দিল্লি উড়ে যাবেন বলে জানিয়েছন। যদিও বিজেপি যোগের জল্পনা তিনি মৃদু হেসে আপাতত উড়িয়ে দিয়েছেন।

কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় “বেসুরো” হওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যে কেনই-বা দিল্লি উড়ে যাচ্ছেন বীরভূমের সাংসদ?
দিল্লিতে তাঁর কী কর্মসূচি রয়েছে তা এখনও স্পষ্ট করেননি শতাব্দী। তবে তিনি জানিয়েছেন, দিল্লিতে তাঁর আত্মীয়-পরিজন রয়েছে। মাঝেমধ্যেই সেখানে যান। আবার যাচ্ছেন।

কোনও কোনও মাধ্যম থেকে শোনা যাচ্ছে, দিল্লি গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে পারেন।
এ প্রসঙ্গে স্পষ্ট করে কিছু না বললেও, জিইয়ে রাখলেন জল্পনা। শতাব্দী বলেন, “অমিত শাহের সঙ্গে কথা বলা বা না বলাটা বিষয় নয়। আমি এমপি, উনি মিনিস্টার, দেখা করতেই পারি, দেখা হতেই পারে।তার মানেই এটা নয় যে বিজেপিতে জয়েন করছি।”

তিনি স্টার হিসাবে নয়, সাংসদ হবে দশ বছর সাফল্যের সঙ্গে কাজ করেছেন বলে দাবি করলেন শতাব্দী। সারা ভারতবর্ষে এমপি ল্যাড খরচে তিনি তৃতীয়। মানুষের কাছে জবাব দিতে হয়। মানুষ ভোট দিয়ে নির্বাচন করেন। তাই কাজ করতে না পারলে সমস্যা তো হবেই। তবে শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে বললেও সমস্যার সমাধান হবে কিনা, তা নিয়েও সন্দিহান শতাব্দী। এমনকি শনিবার দিল্লি যাওয়ার আগে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন কিনা, সেবিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানাননি সাংসদ। বলেন, “আমি এখনও ঠিক করিনি যে দলনেত্রীর সঙ্গে কথা বলব কি বলব না।”

প্রসঙ্গত, বোলপুরে রোড শোয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের পাশেই হাঁটতে দেখা গিয়েছিল সাংসদ শতাব্দীকে। এদিকে তারপরই হঠাৎ বেসুরো তিনি। যদিও এবিষয়ে শতাব্দী বলেন, “দিদির জন্যই আমি রাজনীতিতে। দিদি ডেকেছিলেন, তাই গিয়েছিলাম। কিন্তু যেখানে আমাকে ডাকা-ই হচ্ছে না, ডাকা হবে না, সেখানে আমি কেন যাব।”

অন্যদিকে, ফের তারাপীঠ উন্নয়ন পর্ষদের সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করার ইচ্ছেপ্রকাশ করেছেন শতাব্দী রায়। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এটা নতুন নয়। এর আগেও আমি ২ বার চিঠি দিয়েছি। আমার মনে হয়, ওই পর্ষদে কোনও মতামত বা সিদ্ধান্ত দেওয়া যায় না। ওই অবধি আলোচনা-ই পৌঁছয় না।” কিন্তু এবিষয়ে জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে তিনি সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন কিনা, তা জিজ্ঞাসা করা হলে, প্রসঙ্গ এড়িয়েই যান সাংসদ। তাঁর সংক্ষিপ্ত জবাব, “অনুব্রত মন্ডলের সঙ্গে কথা হয়নি।”

উল্লেখ্য, ফেসবুকে ফ্যান পেজে দলের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেওয়ার পর এদিন ফোনেও খোলাখুলি তাঁর অসন্তোষ ব্যক্ত করেন তিনি। বলেন, “আমার তো একস্ট্রা কিছু চাওয়ার নেই। আমার ব্যক্তিগত আক্রমণও নেই। আমার শুধু একটাই কথা যে, আমাকে আমার প্রাপ্য সম্মানটুকু দেওয়া হোক। এখন আমার সমস্যা আমি বলেছি। আমি জানিয়েছি, আমার কাজটা করতে পারছি না। কারণ জনপ্রতিনিধি হিসেবে প্রশ্নের সম্মুখীন তো আমাকে হতে হবে। এখন দল যদি বলে দেয় যে, আমাকে কোনও প্রশ্ন করা হবে না, প্রশ্ন করা যাবে না, তাহলে অন্য কথা।”

আরও পড়ুন-শতাব্দীর প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিলেন সৌগত, দিলীপ জানালেন সবাইকে স্বাগত

Advt

Previous articleআজ রাত থেকেই বন্ধ হচ্ছে শিয়ালদহ উড়ালপুল
Next articleচতুর্থ টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তরুণ তুর্কিদের নিয়ে মাঠে নামলেন রাহানে