Wednesday, December 24, 2025

সংশোধন নয়, ৩ কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দিল্লিতে সরব তৃণমূল

Date:

Share post:

সংশোধনের মত কোনও শর্টকাট নয়, ৩টি কৃষি আইন(Farm law) বাতিলের দাবিতে এবার দিল্লিতে সরব হয়ে উঠল তৃণমূল। সংসদে আসন্ন বাজেট অধিবেশনে এই তিনটি আইনকে বাতিল করে নতুন করে কৃষি বিল পেশ করা হোক। সোমবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই জানালেন তৃণমূলের(TMC) দুই সাংসদ সৌগত রায়(Sougata Roy) ও ডেরেক ও’ব্রায়েন(Derek O’Brien)।

কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই দিল্লির সীমান্তে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন দেশের কৃষকরা তাদের এই দাবির পাশে এসে দাঁড়িয়েছে বিরোধীরাও। তবে সরকার অনড়। কেন্দ্রের দাবি, কৃষি আইন বাতিল নয়, তবে সংশোধন করতে রাজি। এখানে পরিস্থিতির মাঝেই এবার কৃষি আইনের বিরুদ্ধে সরব হলো তৃণমূল। সোমবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় ও ডেরেক ও’ব্রায়েন জানিয়ে দিলেন, তৃণমূলের বক্তব্য বিষয় স্পষ্ট কৃষকদের দাবি মেনে সরকার কৃষি আইন বাতিল করুক। কারণ অত্যন্ত তাড়াহুড়োর সঙ্গে এই বিল পাশ করিয়েছে সরকার। কোনওরকম সংশোধন কিংবা শর্টকাট নয় ৩ কৃষি আইন বাতিল করে ফের নতুন করে বিল পেশ করা হোক সংসদে এবং পর্যাপ্ত আলোচনার পর সেই বিল আইনে রূপান্তর করা হোক।

আরও পড়ুন:মমতার মাস্টারস্ট্রোকে বিজেপির ‘মিম-সিদ্দিকি’ কৌশল ব্যাকফুটে, কণাদ দাশগুপ্তর কলম

এর পাশাপাশি এদিন সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রের কৃষক সম্মান নিধি ও রাজ্যের কৃষক বন্ধু নামের দুই প্রকল্পের তুলনামূলক আলোচনা করে তৃণমূল বুঝিয়ে দেয় আদতে কোন প্রকল্প মানুষের জন্য বেশি উপকারী। ডেরেক ও’ব্রায়েন ও সৌগত রায় জানান, কৃষকদের জন্য কেন্দ্রে রানা প্রকল্পে প্রতি একরে দেওয়া হয় ১২১৪ টাকা। এখানে প্রতি একর পিছু পশ্চিমবঙ্গের কৃষকরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকল্পে পান ৫০০০ টাকা। রাজ্যের কৃষক বন্ধু প্রকল্প সমস্ত কৃষকের কাছে পৌঁছায় কিন্তু কেন্দ্রের প্রকল্প শুধুমাত্র প্রান্তিক কৃষকদের কাছে পৌঁছয়। এবং রাজ্যের কৃষক বন্ধু প্রকল্পের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী কোন কৃষকের মৃত্যু হলে তার পরিবারকে দু’লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। কেন্দ্রের প্রকল্পে এই ধরনের কোনও সুবিধা নেই। এর ফলে পশ্চিমবঙ্গে এই প্রকল্পের চাহিদা ক্রমবর্ধমান সে তুলনায় কেন্দ্রে প্রকল্পের জনপ্রিয়তা ক্রমশ কমতে শুরু করেছে গোটা দেশে। একইরকমভাবে ‘স্বাস্থ্যসাথী’ ও ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্প, কন্যাশ্রী ও ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ প্রকল্পের তুলনা করে বুঝিয়ে দেওয়া হয় আসলে রাজ্যের প্রকল্প গুলি অধিক লাভজনক কেন্দ্রের প্রকল্পের তুলনায়।

Advt

spot_img

Related articles

নতুন তিন বিমান সংস্থা: ইন্ডিগোর একচেটিয়া দখল ভাঙছে দেশের আকাশে 

দেশের আকাশপথে একচেটিয়া দখল ভাঙতে যাচ্ছে। ইন্ডিগোর বিমান বাতিল ও যাত্রী অসুবিধার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকার নতুন তিনটি সংস্থাকে...

ক্রিসমাস ইভে পর্তুগিজ চার্চে সকলের মঙ্গল কামনায় বিশেষ প্রার্থনা মুখ্যমন্ত্রীর

ধর্ম যার যার, উৎসব সবার- এই মতাদর্শে বিশ্বাসী বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। যতটা শ্রদ্ধা ও গুরুত্বের...

শালবনিতে ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র, হুগলিতে ওয়্যারহাউস! সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভার 

কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি শিল্প পরিকাঠামো বৃদ্ধি করতে বড় সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে দুইটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে...

ডিরেক্টরেট স্তরের কর্মীদের জন্য কমন ক্যাডার গঠন, সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভায়

রাজ্য সরকার এবার সচিবালয়ের কর্মীদের মতোই ডিরেক্টরেট স্তরের কর্মীদের জন্য কমন ক্যাডার গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নবান্ন সূত্রে জানা...