করোনা টিকাকরণ সম্ভবত বিশ্বের বৃহত্তম টিকাকরণ কর্মসূচি(COVID-19 Vaccination)। সরকারি উদ্যাগে বিনামূল্যে টিকা দেওয়া হচ্ছে দেশের প্রত্যেক চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের এবং করোনা যোদ্ধাদের। ইতিমধ্যেই অনেকে টিকা নিয়ে নিয়েছেন। তবু টুিকার উপর মোটেই ভরসা রাখতে পারছেন না অধিকাংশ ভারতীয়। সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। অতিমারি থেকে বাঁচতে সরকার স্বাস্থ্যকর্মীদের করোনার টিকা দিচ্ছে ঠিকই। কিন্তু সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে, ৬০ শতাংশ ভারতীয়রই নাকি টিকার উপর ভরসা নেই। তিন সপ্তাহ আগে ভরসার সংখ্যাটা ছিল ৬৯ শতাংশ। ক্রমেই সেটা কমছে।

কেন আশঙ্কা? এই টিকা শরীরে ঠিক কতটা নিরাপদ, সে ব্যাপারে বিজ্ঞানীরাও খুব একটা নিশ্চিত নন। মনে করা হচ্ছে টিকা আনার ব্যাপারে আরো একটু ধীরে চলো নীতি নেওয়া উচিত ছিল। ল্যানসেটের মতো আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জার্নালে বিভিন্ন স্তরের ট্রায়াল রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে ঠিকই, তবে এত কম সময়ে বাজারে টিকা চলে আসায় সবাই ভয়ে ভয়েই রয়েছেন। ২০২১ সালের ১৬ জানুয়ারি টিকাকরণের কাজ শুরু হয়। ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিন এবং ব্রিটেনের অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও অক্সফোর্ডের তৈরি কোভিশিল্ড প্রথম দফায় তিন কোটি স্বাস্থ্যকর্মীকে দেওয়ার কথা ঘোষণা হয়। তার পর থেকেই দেশের নানা প্রান্ত থেকে টিকা নেওয়ার পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর আসতে শুরু করে। ক্রমেই বাড়ছে অসুস্থ হওয়ার খবর। এমনকী, টিকা নেওয়ার পর মৃত্যু হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন কেউ কেউ। যদিও টিকা গ্রহণের পর কেউ অসুস্থ হলে সেই ব্যক্তির দায়িত্ব নেওয়ার কথা টিকাপ্রস্তুতকারক সংস্থার। তা–ও মানুষের শঙ্কাবোধ কাটছে না বলেই ধারণা একাংশের। সমীক্ষার রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ৫৯ শতাংশ মানুষের অভিমত টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কী কী থাকতে পারে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তাছাড়া, ইতিমধ্যেই করোনার নয়া স্ট্রেন এসে গেছে। তার সংক্রমণ ছড়ানোর ক্ষমতা নাকি আরো বেশি। কাজেই এই ভ্যক্সিন কি নয়া স্ট্রেনের উপরেও কার্যকর? সে নিয়েও ধন্দে রয়েছেন অনেকে।