Tuesday, August 26, 2025

ছবি এঁকে রাজ্যে তাক লাগলো মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের খুদে মনোজিৎ

Date:

Share post:

রুল থেকে রং কিংবা অয়েল কালার হাতের কাছে যা পারছে তাই দিয়ে সাদা কাগজে ফুটিয়ে তুলছে চমকপ্রদ ছবি। এই ছবি এঁকেই গোটা রাজ্যে তাক লাগিয়ে দিয়েছে ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়া মনোজিৎ মাইতি(Manojit Maiti)। মালদা(Malda) জেলার হরিশ্চন্দ্রপুরের হরিশচন্দ্রপুর হাই স্কুলে পাঠরত মনোজিৎ মাইতি একেবারে ম্যাজিক করে দিয়েছে যাকে বলে। তার বয়সী সবাই যখন ক্লাস সিক্সের অঙ্ক কষতে গলদঘর্ম, সেই বয়সেই দূর্দান্ত সব ছবি এঁকে সকলকে চমকে দিচ্ছে এই খুদে। বছর এগারোর এই খুদে লকডাউন, দূর্গাপুজা, বিভিন্ন উৎসব থেকে শুরু করে, পোর্ট্রেট সবকিছু তুলির টানে ফুটিয়ে তুলে অবাক করছে সবাইকে।

বাবা মা পেশায় শিক্ষকতা করেন। ছোটোবেলা থেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি আঁকার প্রতি ঝোঁক ছিল মনোজিতের। খুব ছোট্ট বয়স থেকে রং পেনসিলের সাথে জুড়ে যায় এই প্রতিভাবান ছেলেটি। প্রথম শ্রেনীতে পড়াকালীন প্রথম আঁকা শিখতে শুরু করেছিল মনোজিৎ, দুই বছর শেখার পর বাড়িতেই নিয়মিত প্র্যাকটিস করছে, এমনটাই জানা গেছে পরিবার সূত্রে। এরপর লকডাউনের আগে আবার মাস দুই আঁকার স্যারের কাছে যায় সে। কিন্ত লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে তা আর সম্ভব হয়নি। তখন থেকে বাড়িতে নিজেই একের পর এক দুর্দান্ত সব ছবি এঁকে ফেলেছে সে। বিভিন্ন অনলাইন এবং অফলাইন অঙ্কন প্রতিযোগিতায় ভালোবেসে অংশ গ্রহণ করে সে এবং যথারীতি প্রাইজও তুলে আনে। ব্লক স্তরে, জেলা স্তরে, রাজ্য স্তরে সবেতেই অংশ গ্রহণ করেছে এই ক্ষুদে। তার মধ্যে ব্লক স্তরে ও জেলা স্তরে প্রথম স্থান অধিকার করে মা বাবার নাম উজ্জ্বল করেছে মনোজিৎ। এ ছাড়াও অনলাইনে বিভিন্ন ন্যাশনাল স্তরে এবং ইন্টারন্যাশনাল স্তরের প্রতিযোগিতাতেও অংশগ্রহণ করে সে।

মনোজিৎ এর মা মনোমিতা মাইতি গর্বের সঙ্গে ছেলের কৃতিত্বের প্রসঙ্গে জানালেন, “ও ভালোবেসে ড্রয়িং করে। আমরা কোনোদিনই বাধা দিই না, ও নিজের ইচ্ছেমতো করে। দুই বছর আঁকা শিখেছিল তারপর বাড়িতেই প্র্যাকটিস করে। আমরা চাই ও যেটাকে ভালোবাসে সেই দিকেই এগিয়ে যাক। ও উঁচু ক্লাসে উঠে যদি অ্যানিমেশন নিয়ে পড়তে চায় সেটা নিয়েই পড়াবো।”

আরও পড়ুন:পুলিশের চাকরি ছেড়ে অধিকারের লড়াইয়ে, ৪৪ বার জেল খেটেছেন কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত

মনোজিৎ বলল, “আমি ক্লাস ওয়ান থেকে দুই বছর আঁকা শিখেছিলাম। এখন বাড়িতেই করি। ল্যান্ডস্কেপ এবং পোর্ট্রেট আঁকছি। এছাড়াও অশ্বথ পাতার উপরেও ড্রয়িং করেছি আমি।” বড়ো হয়ে কী করতে চায় জিজ্ঞেস করা হলে সে বলে পড়াশোনার সাথে যুক্ত থাকতে চায় সে এবং তার সাথে আঁকাটাকেও সমানভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়। ক্রিকেটেও একই রকমভাবে আগ্রহ রাখে সে, এমনই জানালো ১১ বছর বয়সী মনোজিৎ।

Advt

spot_img

Related articles

দুদিন ছুটি বৃষ্টির! তবুও থাকছে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস

বঙ্গোপসাগরে ফের তৈরি হচ্ছে ঘূর্ণাবর্ত। তার জেরে ফের ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া দফতর। যার প্রভাব ওড়িশা ও বাংলার...

অনেক প্রেরণা তাঁরই: জন্মদিবসে মাদার টেরেসাকে স্মরণ মুখ্যমন্ত্রীর

তিনি যত না ছিলেন ম্যাসিডোনিয়ার তার থেকেও বেশি ছিলেন ভারতের, এই বাংলার। যাঁদের বেঁচে থাকার কোনও আশাই ছিল...

সবার ভালোবাসা লালবাগচা রাজাকে, মুম্বইয়ের গণেশ পুজোয় টক্কর দিতে তৈরি অন্যরাও

মুম্বইয়ের লালবাগের রাজাকে (Lalbaugcha Raja) কে না চেনে। সারাবছর আখ্খা মুম্বইকর অপেক্ষা করেন তাঁর ঝলক দর্শনের জন্য। এবছরও...

প্রাথমিক টেট-এর তথ্য ফাঁস হয়নি, বিভ্রান্তি কাটিয়ে জানালো পর্ষদ

নতুন জালিয়াতির বিরুদ্ধে কড়া রাজ্যের শিক্ষা দফতর। প্রাথমিক টেট-এর (Primary TET) তথ্য ফাঁস হওয়া নিয়ে নতুন করে বিভ্রান্তি...