ত্রাতার ভূমিকায় দুই পুলিশ আধিকারিক, গ্রিন করিডরে রোগী পৌঁছলেন হাসপাতালে

ফের ত্রাতার ভূমিকায় কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশ। আবার সংবাদ শিরোনামে তিলজলা ট্রাফিক গার্ডের ওসি সৌভিক চক্রবর্তী (Souvik Chakravorty)। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সার্জেন্ট সুমন্ত পাল (Sumanta Paul)। শনিবার, ‘মা’ ফ্লাইওভারের (Flyover) কাছে ডিউটিতে ছিলেন ওসি সৌভিক এবং সার্জেন্ট সুমন্ত। খবর আসে, আশঙ্কাজনক এক রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে ‘মা’ ফ্লাইওভারের উপর বিকল হয়ে গিয়েছে একটি অ্যাম্বুল্যান্স। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছন দুজনে।

প্রথমেই সায়ান্স সিটির কাছে রাখা কলকাতা পুলিশের একটি ‘ট্রমা কেয়ার’ অ্যাম্বুল্যান্স ডেকে পাঠানো হয়। কিন্তু সেরিব্রাল অ্যাটাকের আক্রান্ত প্রৌঢ়ের অবস্থা এতটাই সঙ্কটজনক যে তাঁকে ওই ট্রমা অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে যাওয়া সম্ভব ছিল না।

সময় নষ্ট না করে, কাছাকাছি অ্যাম্বুল্যান্স মেরামত করতে জানা মেকানিক খুঁজতে নিজের বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়েন সুমন্ত পাল। খুব দ্রুত মেকানিক নিয়ে ঘটনাস্থলে ফেরেন তিনি। সারানো হয় বিগড়ে যাওয়া অ্যাম্বুলেন্স।

কিন্তু সব ব্যবস্থা করতে গিয়ে বেশ কিছুটা মূল্যবান সময় পার হয়ে গিয়েছিল। সেই কারণেই ট্র্যাফিক কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে কথা বলে ‘গ্রিন করিডর’-এর ব্যবস্থা করেন সৌভিক চক্রবর্তী। ফলে দেরি হয়নি। আট মিনিটের মাথায় হাসপাতালে পৌঁছে যায় অ্যাম্বুল্যান্স। আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই প্রৌঢ়। দুই পুলিশ আধিকারিককে অকুণ্ঠ ধন্যবাদ জানিয়েছ রোগীর পরিবার। এর আগেও রাস্তায় শিশুর জন্ম দেওয়া এক প্রসূতিকে একইভাবে গ্রিন করিডরের মাধ্যমে হাসপাতালে পৌঁছে দেন সৌভিক চক্রবর্তী। রাস্তায় যাতে কোনো সমস্যা না হয় সে জন্য নিজে সেই পরিবারের সঙ্গে যান হাসপাতালে। কলকাতা পুলিশের এই ভূমিকাই নাগরিকদের মনে ভরসা জাগায়।

আরও পড়ুন-নজিরবিহীনভাবে রাজ্যের ৩ নির্বাচনী আধিকারিককে সরাল কমিশন

Advt

Previous articleদাম বাড়ল অধিক পণ্যের, কমলো হাতেগোনা, ভারী হল মধ্যবিত্তর কাঁধের বোঝা
Next articleভারতের ঐতিহাসিক জয়ের প্রশংসা নির্মলার বাজেটেও