দাদার স্বপ্নপূরণে ভাইয়ের ‘আত্মত্যাগ’! নন্দীগ্রামে মমতার প্রতিদ্বন্দ্বী দিব্যেন্দু?

কথা ছিল ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে বঙ্গে হাইভোল্টেজ কেন্দ্র হতে চলেছে নন্দীগ্রাম(Nandigram)। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর(Suvendu adhikary) কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত নন্দীগ্রামে সবার আগেই নিজেকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। এরপরই রাজনৈতিক মহলের ধারণা ছিল আসন্ন নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম শুভেন্দু অধিকারীর টক্কর হতে চলেছে। তবে সে সম্ভাবনা থেকে এবার পিছু হটলেন শুভেন্দু অধিকারী। যা জানা যাচ্ছে তাতে নন্দীগ্রামে নিজে না দাঁড়িয়ে ভাই দিব্যেন্দুকে দাঁড় করাতে আগ্রহী তিনি।

বিজেপি সূত্রের খবর, ভাই দিব্যেন্দু অধিকারীকে নন্দীগ্রামে প্রার্থী করতে ইতিমধ্যেই শাহের কাছে দরবার করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। বঙ্গে বিপুল জনপ্রিয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে টক্কর দিতে রণক্ষেত্রে ভাইকে এগিয়ে দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিনি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে নন্দীগ্রাম বিধানসভায় বিজেপি প্রার্থী হিসেবে দেখা যেতে পারে তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীকে। যদিও গোটা বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। সমস্ত কিছু সম্পন্ন হতে এখনও বেশ কিছু ধাপ বাকি। তার আগে অবশ্য বিষয়টি নিয়ে গোপনীয়তা কায়েম রেখেছে গেরুয়া শিবির।

তবে শুভেন্দু কেন মমতার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে চাইছে না? এ বিষয়ে রাজনৈতিক মহলের স্পষ্ট বক্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তার সমুদ্রে কার্যত খড়কুটোর মতো ভেসে যাবেন একদা তাঁর ছত্রছায়ায় লালিত হওয়া নন্দীগ্রাম আন্দোলনের অন্যতম নেতা শুভেন্দু অধিকারী। যার ফলেই সদ্য বিজেপিতে যোগ দিয়ে পরীক্ষার ফলাফলে ‘অনুত্তীর্ণ’ শব্দটি দেখতে চাইছেন না রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। এহেন অবস্থায় পিছু হটবার জায়গা না পেয়ে নন্দীগ্রামের আর এক লড়াইয়ে ভাইকে বলির পাঁঠা করতে দিল্লির দরবারে প্রস্তাব পাঠাচ্ছেন তিনি।

আরও পড়ুন:বন সহায়ক পদ নিয়ে কারসাজি, চুরি করে বিজেপিতে গিয়েছে: নাম না করে রাজীবকে তোপ মমতার

যদিও হাইভোল্টেজ নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী হওয়ার কথা সম্পূর্ণভাবে উড়িয়ে দিয়েছেন দিব্যেন্দু অধিকারি। সংবাদমাধ্যমের সম্মুখে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, ‘বর্তমানে আমি তৃণমূলের একজন সাংসদ। আর সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার এখনও সাড়ে তিন বছর বাকি। দলনেত্রীকে আমি শ্রদ্ধা করি, ফলে কেন বিধানসভায় আমি তার বিরুদ্ধে লড়তে যাব?’ তবে দিব্যেন্দু যাই বলুক না কেন দাদা বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর দলের সঙ্গে দিব্যেন্দু দূরত্ব ক্রমাগতভাবে বেড়ে চলেছে। সম্প্রতি একাধিক সরকারি পদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। এখানে অবস্থানে রাজনৈতিক মহলের দাবি দিব্যেন্দুর তৃণমূল শুধু সময়ের অপেক্ষা। আর গেরুয়া শিবিরে শুভেন্দুর পরামর্শে বর্তমানে নন্দীগ্রামের জন্য যা রণনীতি সাজানো হচ্ছে তাতে সেখানে দিব্যেন্দুর বলির পাঠা হওয়াটা কার্যত নিশ্চিত।

Advt

Previous articleবন সহায়ক পদ নিয়ে কারসাজি, চুরি করে বিজেপিতে গিয়েছে: নাম না করে রাজীবকে তোপ মমতার
Next articleমতুয়াদের নিয়ে ছেলেখেলা করছে বিজেপি, দাবি ব্রাত্যর