জোড়াবাগান কাণ্ড: নাবালিকার পাকস্থলিতে বিরিয়ানি-চিপস, পুলিশের নজরে দারোয়ান

জোড়াবাগান (Jorabagan) নাবালিকাকে (Minor) ধর্ষণ করে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনায় জরিত সন্দেহে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘপটনার শিকড়ে পৌঁছতে আটক ব্যক্তিকে দফায় দফায় জেরা করছেন কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড ও গোয়েন্দা বিভাগের তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনায় ধৃতের যোগ ছিল কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য তার DNA এবং হাতের ছাপ পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এদিকে নাবালিকা খুনে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট (Postmortem Report) প্রকাশিত হয়েছে। সেই রিপোর্টে ‘ফিঙ্গার পেনিট্রেশন’-এর তথ্য সামনে উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, আগে শ্বাসরোধ করার পর শিশুটির গলাকাটা হয়েছে। যৌন নির্যাতনও করা হয়েছে। তার পাকস্থলিতে বিরিয়ানি এবং চিপস মিলেছে। গোয়েন্দারা মনে করছেন চিপসের সঙ্গেই কিছু মেশানো ছিল। সেটা খাইয়ে সংজ্ঞাহীন করার পর পুরো বিষয়টি ঘটানো হয়েছে। ঘটনায় দারোয়ান জড়িত রয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, স্নিফার ডগ রবীন্দ্র সরণির ২টি দোকানের দিকে ইঙ্গিত করে। সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার জোড়াবাগানের পাঁপড়গলি থেকে উদ্ধার হয় ৯ বছরের ওই নাবালিকার অর্ধনগ্ন দেহ। ভাঙাচোরা এক বহুতলের সিড়ির ল্যান্ডিংয়ে ছোট্ট মেয়েটির উপর পৈশাচিক নির্যাচন চালানো হয় বলে অভিযোগ। ধর্ষণের পাশপাশি তাকে প্রচণ্ড মারধর করা হয়েছ বলে দাবি তদন্তকারীদের। মৃত্যু নিশ্চিত করতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার গলায় কোপ অবধি মারা হয়েছে বলেও দাবি করছেন তদন্তকারীরা।গতকাল ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখার সময় ওই বাড়ির নীচের নর্দমা থেকে রক্তমাখা একটি ছুরি উদ্ধার হয়। সেটিকেও পরীক্ষা করছে ফরেনসিক বিভাগ।

জানা গিয়েছে, নাবালিকা শোভাবাজারে থাকত। তার বাবা ওই এলাকায় বস্তা সরবরাহের কাজ করেন। তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী তিন ভাইবোনের মধ্যে সবচেয়ে ছোট। ওই দিন সে দিদির হাত ধরে মামাবাড়িতে ঘুরতে যায়। বিকেলবেলা খেলতে বেরিয়ে নিখোঁজ হয় সে। রাতে পরিবারের তরফে নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয়েছিল। পরদিন স্থানীয় এক মহিলা ছাদে কাপড় শুকাতে এসে তার নিথর দেহ দেখতে পান। আতঙ্কে শিউড়ে উঠে চিৎকার করায়, ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। ওই চার তলা বাড়ির ৬টি ঘরের মধ্যে ৫টিতে লোকজন থাকেন। ফলে অপরিচিত কোনও ব্যক্তির সেখানে ঢোকার সুযোগ ছিল না, এমন‌ই মত তদন্তকারীদের। স্থানীয় কার‌ও ঘটনায় জড়িত থাকার সম্ভাবনাই দেখছে গোয়েন্দা বিভাগ। পারিবারিক শত্রুতার কারণে কেউ এমনটা ঘটাল কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

 

 

Previous article‘সোনার বাংলা’ গড়তে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির স্টার প্রচারক বিপ্লব দেব
Next articleআপত্তিকর মন্তব্য: বর্ধমানে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা অভিষেকের