হাথরাস কাণ্ডের ছায়া, গণধর্ষণের পর রাতের অন্ধকারেই পোড়ানো হল দেহ

উত্তর প্রদেশের হাথরাস কাণ্ডের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের গণধর্ষণের শিকার এক কিশোরী। এবার অকুস্থল বিহার। ধর্ষণের পর কিশোরীকে খুন করে রাতের অন্ধকারেই দেহ পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। প্রমাণ লোপাটের জন্য অপরাধীদের সঙ্গে পুলিশি মদত রয়েছে বলেও উঠছে অভিযোগ।

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, একটি অডিও এবং একটি ভিডিও ক্লিপ এসেছে প্রকাশ্যে। ভিডিও ক্লিপে দেখা গিয়েছে, ৪ ধর্ষক সৎকার করছে ১২ বছরের কিশোরীর দেহ। যদিও এই ঘটনাটি ২১ জানুয়ারির।

খবরে প্রকাশ, কিশোরীর বাড়ি নেপালের বারবারদিয়ার বাসিন্দা। বাবার সঙ্গে থাকবে বলে সে এসেছিল বিহারে। বিহারের পূর্ব চম্পারণের বাজারে পাহারাদারের কাজ করেন তিনি। মা থাকেন নেপালে। ঘটনার রাত, ২১ জানুয়ারি ঘরে একা ঘুমাচ্ছিল কিশোরী। তখনই ৪ অভিযুক্ত ঘরে ঢুকে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ঘটনার কথা প্রকাশ্যে না আনার জন্য কিশোরীর বাবাকে হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। প্রাণ ভয়ে আর মুখ খোলেননি কিশোরীর বাবা।

ঘটনার কথা জানাজানি না হওয়ায় বহাল তবিয়তেই ছিলেন অভিযুক্ত ৪ ব্যক্তি। অডিও ক্লিপটি প্রকাশ্যে আসার পর চাউর হয় এই নারকীয় ঘটনার খবর। জানা গিয়েছে, কুন্দয়া থানার হাউজ স্টেশন অফিসার সঞ্জীব রঞ্জনের ভয়েজ ক্লিপ প্রকাশ্যে আসার পর ছড়িয়েছিল চাঞ্চল্য। ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারাও। ক্লিপটিতে সঞ্জীব রঞ্জনকে বলতে শোনা গিয়েছে, কিশোরীর পরিবার পুলিশের কাছে যাওয়ার আগে দেহ সৎকার করে ফেলুন। ফোনের উল্টো দিকে তখন স্থানীয় নেতা রমেশ শাহ ছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। এরপর ৩ ফেব্রুয়ারি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন কিশোরীর বাবা। পূর্ব চম্পারণের পুলিশ সুপার নবীন চন্দ্র জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে ৪ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধর্ষণ, খুন সহ পকসো মামলায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

Advt

 

Previous articleনতুন ভূমিকায় মিশেল ওবামা, অভিনয় করবেন ওয়েব সিরিজে
Next articleএই ভোটটা আমার ভোট, প্রার্থী নয় চিহ্ন দেখে ভোট দিন: মমতা