কখনও শুনেছেন মানুষের দেহে পাষাণ হৃদয়। যদিও বাস্তবে এই ঘটনার সাক্ষী থাকল ভারত। পাথরের হৃদয় নিয়েই ৫০ বছর ধরে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন এক ব্যক্তি। তবে তাঁর জীবদ্দশায় কখনও জানা যায়নি বিষয়টি। মৃত্যুর পর ময়নাতদন্তে হঠাৎই এই নজীরবিহীন বিষয়টি উঠে আসে।

গোয়ার মেডিকেল কলেজে এই বিরল ঘটনা জানাজানি হতেই রীতিমতো স্তম্ভিত চিকিৎসকমহল। পাথুরে হৃদয়ের সন্ধান পেতেই তড়িঘড়ি গবেষণা চালিয়েছেন তাঁরা।বিরল এই রহস্যের সন্ধানও পাওয়া গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, এটি হার্টের একটি বিরল অসুখ। যার ফলে হার্টের কোষ-কলাগুলি শক্ত হতে হতে প্রায় পাথরেই পরিণত হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে জুলাই মাসে। হাসপাতালের চিকিৎসক ডক্টর ভরত শ্রীকুমার জানিয়েছেন, দক্ষিণ গোয়ার একটি পার্ক থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। এরপরে ময়নাতদন্ত করার সময়ে বুকের চামড়া কেটে হার্ট দেখতে গিয়ে দেখা যায়, হার্টের বাম অলিন্দটি পাথুরে। সেটির কার্যক্ষমতা বন্ধ হয়ে হৃদরোগে মারা যান বছর ৫০এর ওই ভদ্রলোক।
চিকিৎসক আরও বলেন,”এমনই শক্ত হয়েছিল হার্টটি , সেটা পাথরের থেকে একটুও কম নয়। আমি হাসপাতালের সিনিয়র ডাক্তারদের দেখাই বিষয়টি। তাঁরাই আমাকে পরামর্শ দেন , হার্টের ওই পাথুরে অংশটি নিয়ে হিস্টোপ্যাথলজিকাল স্টাডি করার জন্য।
সেখানেই জানা যায়, ক্যালসিয়াম অতিমাত্রায় জমে যাওয়ার কারণেই এমন হয়েছে। কিডনিতে স্টোন হলে ঠিক যেমনটা হয়ে থাকে, এক্ষেত্রে হার্টে তেমনটাই হয়েছে।
পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর ডক্টর শ্রীকুমার একটি পেপার লেখেন। ‘আ হার্ট সেট অফ এন স্টোন’ শিরোনাম সেটি প্রকাশ পায়। তারপরই নজীরবিহীন ঘটনাটি সকলের সামনে আসে।
