কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করে চাপে টুইটার, আইনকে হাতিয়ার কেন্দ্রের

জারি রয়েছে কৃষি বিল বিরোধী আন্দোলন। মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারেও চলছে কৃষক আন্দোলন নিয়ে আলোচনা। স্বভাবতই লাগাতার বিক্ষোভের মুখে চাপে কেন্দ্রীয় সরকার। এই বাড়তি চাপের মুখে ‘উস্কানিমূলক’, ‘বিভাজনকারী’ ইত্যাদি অভিযোগ তুলতে শুরু করেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। ব্যবস্থা না নিলে টুইটার কর্তাদের বিরুদ্ধে দেওয়া হয়েছে গ্রেফতারির হুমকিও।

ভারতীয় তথ্য প্রযুক্তি আইন ৬৯এ ধারায় গ্রেফতারির হুমকি দিয়েছে কেন্দ্র। সোমবার কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক এবং টুইটার কর্তৃপক্ষের মধ্যে হয়েছে আলোচনা। এরপরেই কর্মীদের নিরাপত্তার ব্যাপারে চিন্তা প্রকাশ করেছে আমেরিকার এই মাইক্রোব্লগিং সংস্থা। কেন্দ্রের দাবি মেনে ‘উস্কানিমূলক’ এবং ‘বিভাজনরী’ প্রোফাইলগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিতে এক প্রকার বাধ্য হয়েছে তারা।

বিগত কয়েক দিন কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে এবং মোদি সরকারের বিরোধিতায় টুইটারে ট্রেন্ড হয়েছে #ModiPlanningFarmerGenocide কথাটি। বিতর্কিত কৃষি বিলের বিরুদ্ধে যারা রয়েছেন তাদের মধ্যে সহজেই জনপ্রিয়তা লাভ করে এই ট্রেন্ড৷ জনপ্রিয়তা যত বেড়েছে ততই চাপ বেড়েছে সরকারের ওপর। পরিস্থিতি সামাল দিতে টুইটার কর্তাদের দেখানো হয়েছে গ্রেফতারির ভয়।

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইতিমধ্যে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে ৭০৯টি টুইটার অ্যাকাউন্ট। উক্ত হ্যাচ ট্যাগ (#) ব্যবহারকারী ২৫৭টি অ্যাকাউন্টের মধ্যে ১২৬টি অ্যাকাউন্ট রয়েছে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়ার তালিকায়। এছাড়াও বাতিলের খাতায় রয়েছে আরও ৫৮৩টি অ্যাকাউন্ট। অভিযোগ, এই সমস্ত অ্যাকাউন্টের সঙ্গে রয়েছে খালিস্তান-পন্থী কিংবা পাকিস্তান যোগ। তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের অভিযোগ, মিথ্যা তথ্যের মাধ্যমে সমাজে হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করছে একদল মানুষ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আইনত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে টুইটারের বিরুদ্ধে। ধারা ৬৯এ[৩] অনুযায়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাইক্রোব্লগিং সাইট কর্তাদের হতে পারে ৭ বছরের হাজতবাস।

উল্লেখ্য, এর আগে কৃষি আন্দোলনকে সমর্থন জানানো এই সমস্ত অ্যাকাউন্টগুলির পাশে দাঁড়িয়েছিল টুইটার। ‘বাক স্বাধীনতা’ এবং ‘খবরের যোগ্য’ ঘটনা বলে গণ্য করেছিল তারা। তাই ব্লক করেও আগের মতো ফের সক্রিয় করে দেওয়া হয়েছিল এই অ্যাকাউন্টগুলিকে। কিন্তু ‘বাক স্বাধীনতা’র পক্ষে নেওয়া এই পদক্ষেপের ফলে জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যমটিকে পড়তে হল কেন্দ্রের রোষের মুখে। কৃষক আন্দোলনের পক্ষে মত দিয়েছেন রিহানা, গ্রেটার থুনবার্গের মতো বিশ্ববন্দিত তারকারাও।

Advt

Previous articleভোটবাজারে নাট্যোৎসব: জমজমাট উত্তর চব্বিশ পরগনা
Next articleআব্বাসের সঙ্গে কং-বাম সমঝোতা প্রায় বিশ বাঁও জলে