পরিবর্তনের ডাক দিয়ে কোচবিহারে তৃণমূল সরকারকে দুষলেন শাহ

পাখির চোখ বিধানসভা নির্বাচন। আর সেই লক্ষ্যেই রাজ্যে শুরু হয়েছে বিজেপির কর্মসূচি পরিবর্তন যাত্রা(Parivartan Yatra)। ইতিমধ্যেই রাজ্যের তিন জায়গা থেকে বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডার উপস্থিতিতে এই যাত্রার সূচনা করেছে বিজেপি(BJP)। চতুর্থ দফায় এই পরিবর্তন যাত্রা সূচনা করতে বৃহস্পতিবার কোচবিহারে হাজির হন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ(Amit Shah)। আর সেখান থেকেই চাঁচাছোলা ভাষায় তৃণমূলকে দুষলেন তিনি। কোচবিহারের রাসমেলা ময়দানের জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এই পরিবর্তন যাত্রা বাংলার পরিবর্তনের জন্য। এই পরিবর্তন যাত্রা অনুপ্রবেশকারীদের রুখে দেওয়ার জন্য।’

তাঁর কথায়, ‘এই পরিবর্তন যাত্রার মাধ্যমে রাজ্যের দুর্নীতি শেষ করা হবে। পরিবর্তন যাত্রা কৃষকদের দুর্দশা দূর করার জন্য। সোনার বাংলা তৈরি করার জন্য।’ পাশাপাশি কোচবিহারবাসীর মন জয় করতে এদিন বেশ তৎপর দেখালো অমিত শাহকে। বাংলায় দু’শোর বেশি আসন নিয়ে বিজেপি ক্ষমতায় আসবে এমনটা দাবি করার পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘এত বছর ধরে কংগ্রেস, বাম, তৃণমূল এসেছে। রাজবংশীদের সংস্কৃতির সম্মান হয়নি। বিজেপি ক্ষমতায় এলে ৫০০ কোটি টাকা দিয়ে রাজবংশী সংস্কৃতি কেন্দ্র তৈরি হবে। ২৫০ কোটি টাকা দিয়ে পঞ্চানন বর্মার নামে স্মারক তৈরি হবে। এই অঞ্চলকে বিশেষ পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলা হবে।’ কোচবিহারের নারায়ণী সেনা প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘একটা সময় এই নারায়ণী সেনা মুঘলদের দিনে তারা দেখিয়ে ছেড়েছিল।’

আরও পড়ুন:পৃথক রাজ্যের দাবিদার অনন্ত মহারাজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে কোচবিহার পৌঁছলেন শাহ

একই সঙ্গে অতীতে রাজ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষক নিধি প্রকল্প ও আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প চালু না হওয়ার জন্য তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ শানান অমিত শাহ। বলেন, ‘বিজেপি সরকার এলে প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কৃষকদের অ্যাকাউন্টে à§§à§® হাজার টাকা দেওয়া হবে।’ পাশাপাশি তাঁর দাবি ‘এবার বাংলায় ঐতিহাসিক পরিবর্তন হতে চলেছে, মানুষ ভেবে নিয়েছেন বিপুল সমর্থন দিয়ে বিজেপিকে রাজ্যে ক্ষমতায় আনবেন।’ রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসা প্রসঙ্গেও এদিন সরব হন অমিত শাহ। বলেন, ‘এবার গুণ্ডা দিয়ে বাংলায় নির্বাচন হবে না। কাউকে ভোট দিতে বাধা দেওয়া যাবে না।’ তার আরও অভিযোগ, ‘রাজনৈতিক হত্যায় বাংলা এক নম্বরে। মহিলাদের ওপর অত্যাচারেও বাংলা এক নম্বরে। বাংলায় জয় শ্রীরাম বলা অপরাধ। কারণ এখানে বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষকে তোষণ করা হয়।’