মমতাকে তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী করার শপথ নিয়ে রাজপথে অধ্যাপক সমাজ

হ্যাট্রিক করবে তৃণমূলের মা-মাটি-মানুষে সরকার। তৃতীয়বারের জন্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হয়ে নবান্নের ১৪ তলায় বসবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমন শপথ নিয়েই এবার রাজপথে নামলেন বাংলার অধ্যাপক সমাজ। এই প্রথম রাজ্যের কলেজ-বিশ্ব বিদ্যালয়গুলির অধ্যাপক-অধ্যাপিকা-উপাচার্যরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে এবং তৃণমূল সরকারের সমর্থনে রাজপথে বিশাল পদযাত্রা করলেন। যেখানে কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রায় ১০ হাজার অধ্যাপক-অধ্যাপিকা অংশ নিয়েছিলেন বলে দাবি আয়োজকদের।

“মমতাপন্থী অধ্যাপক সমাজ” ব্যানারে এই মিছিলে আসা সকল অধ্যাপক-অধ্যাপিকা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতাজ্ঞাপন করেন। শ্যামবাজার থেকে কলেজ স্ট্রিট পর্যন্ত এই ঐতিহাসিক মিছিলের নেতৃত্বে অধ্যাপক মণিশঙ্কর মণ্ডল।

মণিশঙ্কর মণ্ডলের বক্তব্য, বাংলার অধ্যাপক সমাজের পাশে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সবসময় ছিলেন। কিন্তু বাংলার অধ্যাপক সমাজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাশে আছে সেই বার্তা দেওয়ার জন্যে বাংলার অধ্যাপক সমাজ আজ স্বতস্ফূর্তভাবে রাজপথে।

অধ্যাপক মণিশঙ্কর মণ্ডল আরও ব্বলেন, “একুশের নির্বাচনে রাজ্যে ধর্ম নিরপেক্ষ সরকার গড়তে আমরা সর্বতভাবে আবার পথে নামবো। যারা বাংলার কৃষ্টি-সংস্কৃতি জানে না। যারা বাংলার মনীষীদের অপমান করে। যারা বাংলার ইতিহাস ভূগোল জানে না, তাদের হাতে আমরা কখনই বাংলাকে তুলে দেবো না। এদিনের মিছিল থেকে সেই শপথ-ই নিয়েছি আমরা। আমাদের দেখে আগামীদিনে আমাদেরই আরও হাজার হাজার ছাত্র ছাত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়াবে। লেলিনপন্থী, গান্ধীপন্থী থাকলে আমরাও মমতাপন্থী।”

তবে এদিনের “মমতাপন্থী অধ্যাপক সমাজ”-এর মিছিলের পর খুব স্বাভাবিক ভাবে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে ওয়েবকুপার মত শাসক দলের সমর্থক অধ্যাপকদের সংগঠন থাকার পরেও কেন সমান্তরাল এমন সংগঠন রাস্তায় নামলো। এবং “বেসুরো” নয়, বরং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নিয়ে অনেক সুর ও ছন্দে তাঁরা! এ বিষয়ে মনিশঙ্কর মন্ডল, হান্নান খানরা সরাসরি কোনও মন্তব্য না করলেও তাঁরা বুঝিয়ে দিয়েছেন, কৃষ্ণকলি বসুর নেতৃত্বাধীন ওয়েবকুপার সংগঠন কার্যত ভেঙে পড়েছে। ওয়েবকুপা সংগঠন নিষ্ক্রিয়। তাই এখন থেকে ওয়েবকুপা নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতকে শক্ত করতে অধ্যাপকদের প্রকৃত সংগঠন “মমতাপন্থী অধ্যাপক সমাজ”!

আরও পড়ুন- তেইশে বৈশাখ! রবি ঠাকুরের জন্মস্থানের পরে জন্মদিনও ‘পাল্টে’ দিল মোদি সরকার

Advt