Saturday, August 23, 2025

সেচ দফতরে দুর্নীতি করেছেন “মুখোশধারী” রাজীব! চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তাঁর জেলার-ই বিধায়কের

Date:

Share post:

নিজের ঘর, নিজের নেত্রী ছেড়ে রাজ্যের প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের একগণ গেরুয়া শিবিরে দূত! “স্বচ্ছভাবমূর্তির” রাজীবের বিরুদ্ধে অন্তত কোনও দীর্নীতির অভিযোগ নেই, এমনটাই মনে করেছিল সংশ্লিষ্ট মহল। কিন্তু আদপে কি তাই? “কলঙ্কমুক্ত” রাজীব? বাস্তব কিন্তু অন্য কথা বলছে। রাজীবের বিরুদ্ধে উঠে আসছে ভুরি ভুরি দুর্নীতির অভিযোগ। সত্য, মিথ্যা জানা নেই, তবে একটা মহল থেকে জোরের সঙ্গে বলা হচ্ছে, রাজীবের দুর্নীতি মুখ্যমন্ত্রীর গোচরে চলে যাওয়ার পরই “বেসুরো” হতে শুরু করেন প্রাক্তন বনমন্ত্রী তথা ডোমজুড় কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক রাজীব। এবং সেটা বুঝতে পারার পরই জার্সি বদলের সিদ্ধান্ত? নাটকের শুরুটাও সেখান থেকেই। মন্ত্রিত্ব, বিধায়ক পদ, দল ছাড়ার পরও দলনেত্রীর ছবি হাতে কুম্ভীরাশ্রু এবং বার বার বলা রাজনীতিতে যেন ব্যক্তিগত আক্রমণ না হয়। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি রাজীব বুঝতে পেরেছিলেন, তাঁর দুর্নীতি ধরা পড়ে গেছে, তিনি আর মুখোশের আড়ালে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির প্রতীক হিসেবে থাকতে পারবেন না? সেই সম্ভাবনাই বেশি!

উত্তরবঙ্গ থেকে রাজীবের বিরুদ্ধে সর্ব প্রথম বন সহায়ক পদে দুর্নীতির অভিযোগ করেছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার বিজেপির নব্য নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নদীবাঁধ সংস্কারে দুর্নীতির অভিযোগে সরব হলেন তাঁরই জেলা হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের তৃণমূল বিধায়ক সমীর পাঁজা। এবং তিনি দাবি করেছেন, রাজীবের বিরুদ্ধে শুধু দুর্নীতির অভিযোগ নয় যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ আছে তাঁর হাতে! আর তা নিয়েই শোরগোল শুরু হয়েছে হাওড়ার রাজনীতিতে।

বর্ষায় ডিভিসির ছাড়া জলে উদয়নারায়ণপুর, আমতা-সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত হয়। কয়েক লক্ষ মানুষকে চরম দুর্ভোগের কবলে পড়েন। তা রুখতে উদ্যোগী হয় রাজ্য সরকার। দায়িত্বে থাকে সেচ দফতর। একাধিক বাঁধের প্রকল্পের জন্য সরকারি অনুদান আসে ফি-বছর। এবং সেখানেই কাজ না করে দুর্নীতি করেছেন প্রাক্তন সেচমন্ত্রী, এমনটাই অভিযোগ করেছেন গ্রামীণ হাওড়ার বিধায়ক সমীর পাঁজা। তাঁর সরাসরি অভিযোগ, ”মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিশ্বাস করে সেচমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু, তাঁর অবজ্ঞা, অবহেলায় অনেক কাজ বাকি রয়ে গিয়েছে। তাঁর কাজে অনেক অসঙ্গতি রয়েছে। যে অর্থে কাজটি করা সম্ভব, তিনি তার থেকে বেশি অর্থে কায়দা করে প্ল্যান বানিয়েছিলেন। এতে নিশ্চিত দুর্নীতির গন্ধ আছে। মুখ্যমন্ত্রী তা বুঝতে পেরে গোপনে খোঁজ নেন। অসঙ্গতি বুঝতে পারায় মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে সরিয়ে দেন।”

এখানেই শেষ নয়, রাজ্যের প্রাক্তন সেচমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তদন্তের আর্জি জানিয়েছেন উদয়নারায়ণপুরের বিধায়ক সমীর পাঁজা। এবং তাঁর দাবি, সঠিক তদন্ত হলে রাজীবের মুখোশ খুলে যাবে। কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি করে রাজীব নিজেকে বাঁচাতে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন সমীর পাঁজা।

আরও পড়ুন- রামের পূর্বপুরুষ আছে, দুর্গার আছে? দিলীপের বাংলার দেবীকে অপমানের জবাব চাইলেন অভিষেক

Advt

spot_img

Related articles

অসংগঠিত শ্রমিক-ক্ষেত্রে পথ দেখাচ্ছে বাংলা: সাহায্য পেলেন ৭২০ শ্রমিক

একের পর এক নতুন প্রকল্প, অসংগঠিত শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে লাগাতার আলোচনা, তাঁদের পরিবারের প্রতি নজর রাখার ব্যাপারে তৎপর...

প্রাপ্য চায় বাংলা, উপহার না: মোদিকে জবাব তৃণমূলের

বাংলার মানুষ উপহার চায় না, প্রাপ্য চায়। উপহার দিয়ে বাংলার মানুষকে অপমান করবেন না। বাংলায় বরাদ্দ নিয়ে শুক্রবার...

অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ব্যর্থ শাহ, শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা মোদির: কটাক্ষ তৃণমূলের

অনুপ্রবেশ ইস্যুকে বার বার জাগিয়ে তুলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার আদতে নিজেদের ভুল নিজেরাই চোখ আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।...

রাজ্যে শুরু SIR প্রস্তুতি: একাধিক পদক্ষেপ নির্বাচন কমিশনের

গোটা দেশেই এসআইআর লাগু হবে ঘোষণা করে দিয়েছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার (Gyanesh Kumar)। বিহারে ৬৫ হাজার...