কী কারণে তৃণমূলে যোগ? চিঠি লিখে স্পষ্ট করলেন হুমায়ুন

সদ্য চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে শাসকদলে যোগ দিয়েছেন চন্দননগর (Chandannagar) কমিশনারেটের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)।

এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে একটা বড় প্রশ্ন কেন হুমায়ুন কবীর চাকরি জীবন বাকি থাকা সত্ত্বেও কেন ইস্তফা দিলেন? আগেও প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার সবার প্রথমে ‘এখন বিশ্ব বাংলা সংবাদ’-এ রাজনীতিতে আসার বিষয়ে ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। তারপরেই তার রাজনীতিতে যোগদান। এবার বাকি সব প্রশ্নের উত্তরে হুমায়ুন কবীর জানান,

“বিগত কয়েক মাসে উপলব্ধি করলাম আজকের পশ্চিমবাংলা অদ্ভুত এক সন্ধিক্ষণের মুখে দাঁড়িয়ে। এমন অভূতপর্ব পরিস্থিতি হালফিলের মধ্যে দেখা যায়নি। একদিকে বিশ্ববন্দিত মহান নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay) এবং তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেস (Tmc) বিগত দশ বছর উন্নয়নকে সামনে রেখে সরকার পরিচালনা যেমন করেছেন, বুক দিয়ে পশ্চিমবাংলার প্রায় দশ কোটি মানুষকে ‘মায়ের’ ভালোবাসায় বছরের ৩৬৫ দিন আগলেও রেখেছেন অপর দিকে পশ্চিমবাংলার (West Bengal) বাইরে থেকে আসা সাম্প্রদায়িক একটি রাজনৈতিক দল যারা জুমলাবাজিতে ভারতবর্ষের মানুষকে বারংবার বিভ্রান্ত করেছে আজ তারা পশ্চিমবাংলায় ক্ষমতা দখলের জন্য হাজির হয়েছে। তাদের সমস্ত রকমের অপপ্রচার, তাদের আই টি সেলের মিথ্যাচার, ঘৃণা, বিদ্বেষ এবং বিভেদের রাজনীতির বিষ ছড়িয়ে এবং কয়েক লক্ষ কোটি টাকা ব্যয় করে বাঙালীর বিবেককে কিনতে চাওয়ার নিরন্তর প্রয়াস আমাকে উদ্বুদ্ধ করল মহান নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিছনে দাঁড়াতে, ক্ষুদ্র ক্ষমতা নিয়ে তাঁর হাত শক্ত করায় নিজেকে নিয়োজিত করতে।”

আরও পড়ুন-সোমবার চালু মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প, ৫টাকায় ডিম-ভাত

এছাড়া আরো বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার পরিচালনা এবং তাঁর মানুষের পাশে থাকার নিরন্তর প্রয়াস, তাঁর মস্তিষ্ক প্রসূত উৎকর্ষ বাংলা, একশ দিনের কাজ, এগিয়ে বাংলা, গতিধারা, গীতাঞ্জলি, জল ধর জল ভর, পথসাথী, স্বাস্থসাথী, খাদ্যসাথী, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, সবুজসাথী, যুবশ্রী, সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ, কৃষকবন্ধু, নিজ গৃহ নিজ ভূমি, শিক্ষাশ্রী, এমন প্রায় একশটি প্রকল্পের ডালি মেলে ধরে মানুষকে উন্নয়নের জোয়ারে ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়া আমাকে ভীষণভাবে মুগ্ধ এবং আকৃষ্ট করেছে”।

হুমায়ুন কবীরের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জাতি-ধর্ম, ধনী-দরদ্র, শিশু, কিশোর, কিশোরী, যুবক-যুবতী, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা নির্বিশেষে প্রত্যেকের উন্নয়ন এবং সুখে শান্তিতে জীবনযাপনের ব্যবস্থা প্রতিনিয়ত করে চলেছেন। অফিসে বসে অন্যদের দিয়ে কাজ পরিচালনা তাঁর নাপসন্দ, শক্ত মাটির উপর দাঁড়িয়ে সামনে থেকে মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্ব তাঁকে মুগ্ধ করেছে। বাংলার উন্নয়নে সামিল করা আজ আন্তর্জাতিক প্রশংসা এনে দিয়েছে। ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক, ইউনিসেফ, রাষ্ট্রসংঘ ইত্যাদি বহু সংস্থা তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ।

সব প্রশ্নের উত্তর দিয়ে রাজ্যের মানুষের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা,ভালোবাসা জ্ঞাপন করেন প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার। এবার প্রশ্ন তাহলে কি বিধানসভা ভোটে প্রার্থী হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা? আর প্রার্থী হলে কোন কেন্দ্র থেকে তিনি দাঁড়াতে পারেন? সূত্রের খবর, চন্দননগর পুলিশ কমিশনারের দায়িত্বে থাকাকালীন তিনি যেভাবে অপরাধমূলক রাজ বন্ধ করেছেন ও সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাতে অনেকের কাছের মানুষ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন হুমায়ুন কবীর। তাই হুগলি জেলার কোনো কেন্দ্রেই হয়তো তিনি তৃণমূলের হয়ে লড়াইয়ের ময়দানে নামবেন।

Advt

 

Previous articleবাজেটের ৭দিনের মধ্যেই পার্শ্বশিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধির বিজ্ঞপ্তি জারি রাজ্য সরকারের
Next articleতবে কি রাজরোষ! বিহারে বুলডোজার চলল প্রশান্ত কিশোরের বাড়িতে