প্রতিবাদ-আন্দোলনের অধিকার (right to protest and express dissent) আছে মানেই যখন তখন (anytime) যেকোনও জায়গায় (everywhere) তা করা যায় না। প্রতিবাদের সঙ্গে কর্তব্যেরও (duty) সম্পর্ক আছে। একজনের অধিকার প্রকাশ করতে গিয়ে অন্যজনের অধিকার হরণ করাও চলে না। এক গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণে একথা বলল সুপ্রিম কোর্ট (supreme court)।

আরও পড়ুন : তবে কি রাজরোষ! বিহারে বুলডোজার চলল প্রশান্ত কিশোরের বাড়িতে

২০১৯ সালে দিল্লির শাহিনবাগে টানা তিন মাস ধরে কেন্দ্রের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় আন্দোলন (anti-CAA protest) চলে। তখন সেই আন্দোলন নিয়ে শীর্ষ আদালত যে রায় দিয়েছিল তার বিরুদ্ধে রিভিউ পিটিশন জমা দিয়েছিলেন কিছু সমাজকর্মী। এবার সেই রিভিউ পিটিশন খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট তার রায়ে বলল, প্রতিবাদের অধিকার আছে বলেই যত্রতত্র যেকোনও সময় আন্দোলন করা যায় না। বিরোধিতা ও প্রতিবাদের সঙ্গে দায়িত্ব ও কর্তব্যেরও সম্পর্ক রয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কাউল, অনিরুদ্ধ বোস ও কৃষ্ণ মুরারীর ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, মতপার্থক্য ও গণতন্ত্র হাত ধরাধরি করে চলে। কিন্তু সাধারণ মানুষের অসুবিধা করে প্রতিবাদ জানানো যায় না। প্রতিবাদের অধিকারের নামে মানুষের যাতায়াতের পথ অবরুদ্ধ করে রাখলে তা অন্য আরেক পক্ষের অধিকার লঙ্ঘনের সামিল। এই কাজ সমর্থন করে না আদালত। প্রতিবাদ জানাতে হবে নির্দিষ্ট স্থানে, মানুষের অসুবিধা না করে।