‘সেনার মনোবল ভাঙছে সরকার’, সীমান্ত ইস্যুতে মোদিকে তোপ প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

একদিকে পাকিস্তান(Pakistan) অন্যদিকে চিন(China), সীমান্ত ইস্যুতে দীর্ঘ বছর ধরে ভারতের মাথা ব্যথার অন্যতম কারণ এই দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র। পুলওয়ামা হামলার দ্বিতীয় বর্ষ পুর্তিতে দেশের সীমান্ত সমস্যা ইস্যুতে সরব হয়ে উঠল কংগ্রেস(Congress)। পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে জানানো হলো দেশের দুই সীমান্তে সংকটজনক পরিস্থিতি চলছে। অথচ এই অবস্থায় সরকার সেনার মনোবল ভেঙে দিচ্ছে। সম্প্রতি দিল্লিতে কংগ্রেসের সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই অভিযোগ তোলেন কংগ্রেস নেতা তথা দেশের প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী একে অ্যান্টনি(AK Antony)। তার দাবি, সরকার জাতীয় সুরক্ষার ক্ষেত্রে কোনরকম গুরুত্ব দিচ্ছে না অথচ দেশের সীমান্তে যুদ্ধ পরিস্থিতি চলছে।

সাংবাদিক বৈঠক থেকে অ্যান্টনি বলেন, ‘পাকিস্তান আমাদের দেশে জঙ্গি পাঠাচ্ছে। চিন অরুণাচল থেকে শুরু করে লাদাখ পর্যন্ত একাধিক পয়েন্ট অতিক্রম করার পাশাপাশি বিপুল সংখ্যায় সেনা মোতায়েন করছে। আমাদের সেনা ২৪ ঘন্টা নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে অথচ সরকার তাদের সমর্থন করছে না। অথচ এটা অবিলম্বে করা দরকার।’ অভিযোগ তুলে বলেন, ‘চিনের নৌসেনা ভারত সীমান্ত অতিক্রম করে অনুপ্রবেশ করছে অথচ সরকার সীমান্ত সুরক্ষার ক্ষেত্রে বাজেটে যৎসামান্য বৃদ্ধি করেছে।’ তাঁর আরও দাবি, ‘গালোওয়ান ঘাঁটিতে কখনও কোনও সমস্যা ছিল। ১৯৬২-র সময় ও ছিল না। সেখানে প্রথমবার আমাদের সেনাকে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে। ফিঙ্গার ৮ পর্যন্ত ভারতের অধিকার ছিল। ফিঙ্গার ৪-এ ভারতের একটি সেনা পোস্ট ছিল। অথচ সরকার বলছে ভারতীয় সেনা এখন ফিঙ্গার ৩-এ অবস্থান করবে’।

আরও পড়ুন:গেরুয়াদলের নীতি পুলিশি নিদান: ভ্যালেন্টাইন্স ডে নিয়ে ‘সতর্কীকরণ’

এরপরই সরকারের উদ্দেশে একের পর এক প্রশ্ন ছোড়েন প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। বলেন, মোদি সরকার কেন ভারতীয় সেনার দক্ষতা, সাহস ও ক্ষমতাকে অবিশ্বাস করছে?
গোটা দেশ শান্তি চায়। কিন্তু কিসের মূল্য চুকিয়ে এই শান্তি? তবে কি দেশের জমি অন্যের হাতে তুলে দিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা? সরকারকে এর জবাব দিতে হবে।
মোদি সরকারকে বলতে হবে গালওয়ান ঘাঁটিতে যেখানে ভারতীয় সেনা শহিদ হয়েছে সেখান থেকে কেন সেনা হটানো হলো। এবং ভারতীয় সীমার অন্দরে কেন বাফার জোন তৈরি করা হলো?

Advt

Previous articleগেরুয়াদলের নীতি পুলিশি নিদান: ভ্যালেন্টাইন্স ডে নিয়ে ‘সতর্কীকরণ’
Next articleলিগের ‘লাস্ট বয়ের’ কাছে হার মহামেডানের