পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তিরা কবে পাবেন ভ্যাকসিন? আভাস দিল কেন্দ্র

দেশ জুড়ে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে টিকাকরণের (Vaccination) কাজ৷ প্রথম পর্যায়ে করোনা যোদ্ধা (Covid Warriors) তথা স্বাস্থ্যর্মীদের চলছে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়া। ধাপে ধাপে অন্যদেরও দেওয়া হবে প্রতিষেধক। মনে করা হচ্ছে করোনা যোদ্ধা বা স্বাস্থ্যকর্মীদের পর পরবর্তী পর্যায়ে ভ্যাকসিন দেয়া হবে বয়স্ক ব্যক্তিদের। টিকাকরণের আগামী পদক্ষেপ নিয়ে সোমবার এক আভাস দিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন (Union Health Minister) ।

সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, মার্চ পর্যন্ত ৫০ ঊর্দ্ধ ব্যক্তিদের করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার অবস্থায় পৌঁছাতে পারবে কেন্দ্র৷ কেন্দ্রের পক্ষ থেকে দ্বিতীয় দফার ভ্যাকসিনের কথা বলা হলেও এই টিকা নিয়ে মানুষের মনে রয়েছে কিছু দ্বন্দ। ছত্তিশগড় সরকারের পক্ষ থেকে আগে অভিযোগ করে বলা হয়েছিল যাতে এই টিকার সরবরাহ বন্ধ করা হয়। কংগ্রেস শাসিত সরকারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল কোভ্যাক্সিন (Covaxin) টিকার ট্রায়াল শেষ হওয়ার আগেই তা প্রয়োগ করা হচ্ছে মানব দেহে। সেই সঙ্গে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও অভিযোগ, ভ্যাকসিন ব্যবহারের শেষ দিন উল্লেখ করা নেই ডোজের গায়ে।

বিরোধী কিংবা যাঁরা প্রতিষেধকের সমালোচনা করছেন তাঁদের সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে এই ভ্যাকসিন সম্পূর্ণ সুরক্ষিত এবং মানবদেহে কার্যকর। ‘এক্সপায়ারি ডেট’ না থাকার অভিযোগটিও একেবারেই ভুল। কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বাসবাণী পাওয়ার পরেও অবশ্য বহু মানুষের মন থেকে কাটছে না দ্বন্দ। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম থেকে প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখন বহু মানুষ আসছেন না টিকা নিতে।

প্রথম ডোজ শেষ হওয়ার পর ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় ডোজ ব্যবহারের প্রক্রিয়া। মার্চের ১ তারিখের মধ্যে ভ্যাক্সিনেশন প্রক্রিয়া শেষ করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে স্বাস্থ্যকর্মী ও ফ্রন্টলাইন কর্মীদের টিকাকরণ শেষ করতেই হবে, জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব মনদীপ ভাণ্ডারি। গত ১৬ জানুয়ারি থেকে শুরু করা হয়েছে টিকাদানের প্রক্রিয়া।

সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত শনিবার à§­ হাজার ৬৬৮ জন ‘বেনিফিসিয়ারিস’ দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছেন৷ যা মাত্র প্রথম ডোজ নেওয়া স্বাস্থ্যকর্মী ও ফ্রন্টলাইন কর্মীদের মাত্র ৪ শতাংশ। কিন্তু ১৬ তারিখ, টিকা নিয়েছিলেন à§§ লক্ষ ৯১ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী। এখন এই সংখ্যাটা এতোটা কমে যাওয়ায় স্বভাবতই বেড়েছে চিন্তা। উল্লেখ্য, বর্তমানে ভারতে সুস্থতার হার ৯৭ শতাংশের কিছু বেশি। যা বিশ্বের যে কোনও দেশের তুলনায় বেশি।

আরও পড়ুন: ট্রুডোর দেশকে সাহায্য মোদির, কানাডায় যাবে ৫ লক্ষ করোনা টিকা