Thursday, November 6, 2025

জবাব চাইলেই সমন! তৃণমূল সাংসদদের তলবে স্বৈরাচারী কেন্দ্রকে তোপ মমতার

Date:

বাংলাকে ক্রমাগত কেন্দ্রের বঞ্চনা। সেই সঙ্গে বিরোধী দলগুলি যাতে সেই বঞ্চনা নিয়ে মুখ না খুলতে পারে, প্রতিবাদের পথ বন্ধ করতে তাদের উপর কেন্দ্রীয় এজেন্সির (central agency) ভয় দেখানোর মরিয়া চেষ্টা বিজেপি সরকারের। তারই প্রতিবাদ দিল্লির বুকে করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ ও নেতারা। প্রতিবাদ করতেই সাংসদদের বিরুদ্ধে শমন (summon) জারি করল দিল্লি আদালত (Delhi Court)। ৩০ এপ্রিল তাঁদের দিল্লি আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশও জারি করা হয়। দিল্লি পুলিশকে দিয়ে বিজেপির এই স্বৈরাচারী পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সরব তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেদিনীপুরের সরকারির প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে রাজ্যের উপর দমনমূলক পদক্ষেপের কড়া ভাষায় নিন্দা করেন তিনি।

নির্বাচন কমিশন দফতরে ৮ এপ্রিল বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল সাংসদ ও নেতৃত্বের একটি দল। যে স্বৈরাচারী মনোভাব নিয়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সির প্রয়োগ করা হচ্ছে বিরোধী রাজ্যগুলির উপর, তার প্রতিবাদ করেন সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনের নেতৃত্বে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। কেন্দ্রীয় এজেন্সি ইডি, সিবিআই, আয়কর দফতরের প্রধান পদে পরিবর্তনের দাবি জানান তাঁরা। সেই সঙ্গে তুলে ধরা হয় রাজ্যের উপর বঞ্চনার অভিযোগগুলি। নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) দফতরের বাইরে তৃণমূলের বিক্ষোভের খবর পেতেই ১৪৪ ধারা জারি করে অমিত শাহের পুলিশ। এবার ১৪৪ ধারা ভাঙার অভিযোগে সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, দোলা সেন, সাকেত গোখলে, সাগরিকা ঘোষের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এই স্বৈরাচারী মনোভাবকে তোপ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি তোপ দাগেন, আপনারা জানেন একশো দিনের কাজ (MGNREGS) করিয়ে কেন্দ্র সরকার টাকা দেয়নি। তাদের টাকা আমরা দিয়েছি। ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। আমাদের লোকেরা গিয়েছিল আন্দোলন করতে। একটি স্মারকলিপি দিতে গিয়েছিল, কেন এদের টাকা দেওয়া হচ্ছে না। সব তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর (FIR) দায়ের হয়েছে।

শুধুমাত্র এই চার তৃণমূল সাংসদ নন, কমিশনের বাইরে আন্দোলনে উপস্থিত সাংসদ দোলা সেন, নাদিমুল হক, বিধায়ক বিবেক গুপ্তা, তৃণমূল নেতা শান্তনু সেন, আবির রঞ্জন বিশ্বাস, অর্পিতা ঘোষ ও সুদীপ রাহাকে তলব করেছে দিল্লি আদালত। এসিজেএম নেহা মিত্তলের আদালতে ৩০ এপ্রিল তাঁদের হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সাংসদ ও নেতাদের তলবে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি শুনলাম নির্বাচন কমিশন (Election Commission) অফিসে ওরা গিয়েছিল একটা প্রতিবাদ নিয়ে। তার বিরুদ্ধেও দিল্লি কোর্টে (Delhi Court) একটা মামলা দায়ের হয়েছে। যারা জনগণের কাজ করে না, তারা আদালতে গিয়ে শুধু পিল (PIL) খায়। ওদের ভোট চাই না, ওরা কোর্টে গিয়ে শুধু পিআইএল (PIL) করে বাংলার সর্বনাশ করছে।

Related articles

বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় আজ বিহারে ১২১ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ

আজ থেকে শুরু হল বিহার বিধানসভা নির্বাচন। বৃহস্পতিবার প্রথম দফার ভোটগ্রহণ (Bihar Election 2026 First Phase)।এই পর্বে মোট...

KIFF: সিনেপার্বণের সূচনায় আজ শহরে নক্ষত্র সমাবেশ, বিকেলে ফিল্মোৎসবের উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী

রুপোলি সিনেমা শহরে দিল পা, বছর ঘুরে আবার এল কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব (31st Kolkata International Film Festival...

সুপ্রিম নির্দেশে রাজ্যে ফের শুরু ১০০ দিনের কাজ, নবান্নে তৎপরতা তুঙ্গে 

প্রায় তিন বছর পর ফের রাজ্যে শুরু হতে চলেছে কেন্দ্রীয় ১০০ দিনের কাজ (এমজিএনআরইজিএ) প্রকল্প। সুপ্রিম কোর্ট কলকাতা...

রাত পোহালে প্রথম দফার নির্বাচন বিহারে: হিংসা ঠেকানোই চ্যালেঞ্জ

নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে পরপর খুন। রাজনৈতিক নেতা থেকে সমর্থক। বিহার বিধানসভা নির্বাচনে তাই শান্তি বজায় রাখাই চ্যালেঞ্জ...
Exit mobile version