রামের আরাধ্য দুর্গাকে কীভাবে অপমান? দিলীপ ঘোষকে তীব্র আক্রমণ কুণালের

মা দুর্গার অপমানের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানালেন তৃণমূল (Tmc) মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। উত্তর 24 পরগনার দুটি জায়গা- জগদ্দল এবং নৈহাটির সভা থেকেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে (Dilip Ghosh) আক্রমণ করেন কুণাল। সম্প্রতি একটি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে দিলীপ ঘোষ বলেন, মা দুর্গার বাবাকে সেটা তাঁর জানা নেই। এর উত্তরে এদিন কুনাল বলেন, হিন্দু ধর্মের ধ্বজাধারী বলে নিজেকে জাহির করা দিলীপ ঘোষ গিরিরাজ হিমালয়, মা মেনকা, তাঁদের কন্যা উমাকে জানেন না! অকালবোধনে যে মা দুর্গার পায়ে রামচন্দ্র পদ্মফুল সমর্পণ করেছিলেন সেই দুর্গাকে অপমান করছেন দিলীপ ঘোষরা।

সোমবারের সভা থেকে তৃণমূল মুখপাত্র বলেন, রামচন্দ্রকে বাঙালিরাও শ্রদ্ধা করে। কিন্তু “জয় শ্রীরাম” বললে কি পেট্রলপাম্পে কম দামে জ্বালানি পাওয়া যাবে? বাজারে গিয়ে “জয় শ্রীরাম” বললে কী আলু সস্তা হয়ে যাবে? প্রশ্ন তুলেন কুণাল বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিরুদ্ধে প্রবল কটাক্ষ করেন তিনি।

একইসঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন, বিজেপিতে (Bjp) মেয়েদের সম্মান নেই। যে অযোধ্যা নিয়ে তাদের এতো মাতামাতি, সেখানেই জায়গা হয়নি সীতার। অপমানে তাঁকে পাতালপ্রবেশের মত আত্মহননের পথ বেছে নিতে হয়েছিল। এরপরেই কুণাল বলেন, “বাংলার মা-বোনেরা সতর্ক থাকবেন। চাল সংগ্রহের নামে ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে আপনাদের দরজায় যাচ্ছে বিজেপি। মনে রাখবেন এভাবেই একদিন ভিক্ষুকের ছদ্মবেশে সীতাকে হরণ করে নিয়ে গিয়েছিল রাবণ”।

কুণাল ঘোষের কথায়, ধর্ম, ধর্মের জায়গায়। প্রত্যেকেরই নিজস্ব ধর্মাচরণের অধিকার আছে। কিন্তু ভোটের ময়দানে লড়াইটা ‘রোটি-কাপড়া-মকান”-এর। সেখানে ধর্মকে টেনে এনে রাজনীতি করা উচিত নয়।

তৃণমূল মুখপাত্র বলেন, সারা ভারতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay) একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। সেই কারণেই তাঁর বিরুদ্ধে এভাবে আক্রমণ শণাচ্ছে বিজেপি।

এদিন দলবদলুদের বিরুদ্ধেও সুর চড়ান কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, দলকে ভালোবেসে নয় সাংসদ হওয়ার জন্য বিজেপিতে গিয়েছেন অর্জুন সিং (Arjun Singh)। দীনেশ ত্রিবেদী (Dinesh Tribedi) বিরুদ্ধেও এদিন কটাক্ষ করেন কুণাল। তাঁর দাবি, শুভেন্দু অধিকারী (Shubhendu Adhikari) থেকে শুরু করে বৈশালী ডালমিয়া (Boishali Dalmia), রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajiv Banerjee) থেকে শুরু করে শোভন চট্টোপাধ্যায় (Shobhan Chatterjee)- যে যেখানেই দাঁড়ান না কেন গদ্দাররা জামানত জব্দ হবেন।

এদিন তৃণমূলের সভায় উপস্থিত ছিলেন যুবনেতা তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য (Trinakur Bhattacharya) থেকে শুরু করে স্থানীয় নেতৃত্ব। দুটি সভাতেই ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।

আরও পড়ুন- শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে মাতামাতিতে কি আগ্রহী নয় উত্তরবঙ্গের আদি বিজেপি, কিশোর সাহার কলম

Advt

Previous articleঅতিমারির জের : ৪ টি বড় শহরে নাইট কার্ফু জারি
Next articleসৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শেষ কাজ, রবীন্দ্রসঙ্গীতে গৌতম দেব, প্রকাশিত ‘এ জীবন পুণ্য করো’