হাসপাতালে ভর্তির পর কেন বাড়ি ও পুলিশকে জানানো হয়নি? মইদুল মৃত্যুতে প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর

নবান্ন অভিযানে পুলিসের লাঠিচার্জে গুরুতর জখম হয়েছিলেন ডিআইএফআই-র (DYFI) যুবনেতা মইদুল ইসলাম মিদ্যা। আজ, সোমবার সকালে কলকাতার এক বেসরকারি তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনায় পুলিশ ও রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছে বামেরা। এ দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেন, ”যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীকে ফোন করে দুঃপ্রকাশ করেছি। ময়না তদন্ত করে জানানো হবে। গরিব পরিবারের ছেলে চাকরি ও আর্থিক সাহায্যের জন্যে তৈরি আছি।”

তবে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, ”তিনদিন আগে হাসপাতালে ভর্তি করা হল, অথচ বাড়ির লোক ও পুলিশকে কেন জানানো হয়নি? পুলিশের কাছে কেন কোনও অভিযোগ করা হয়নি। এই ধরনের ঘটনায় স্থানীয় থানায় খবর দেওয়াই দস্তুর। মৃতের বাড়ির লোকেরা বলছে, ১৩ তারিখে জানতে পেরেছি। মাঝে ২দিন কোথায় গেল?”

ঘটনার তদন্ত হবে জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata Banerjee) বলেন,”কিডনিতে আগেও তো সমস্যা থাকতে পারে। ছেলেটির বাড়ি থেকে খবরাখবর নেওয়ার চেষ্টা করছি। তদন্ত করে দেখা হবে আদৌ সেদিনের ঘটনায় মারা গিয়েছে কিনা!”

অন্যদিকে, বাম যুবনেতা মইদুল ইসলামের মৃত্যুকে ঘিরে অবরোধ শুরু হয় শহর কলকাতায়। সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনে সবচেয়ে বেশি অবরুদ্ধ হয় অফিস পাড়া সংলগ্ন সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ চত্বর। সেখানে বামেদের ছাত্র-যুবরা বসে পড়েন রাস্তায়। ঘটনার প্রতিবাদে কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজার অভিযানের কথা ছিল বলে জানা গিয়েছে। তবে আজ তা স্থগিত করে শুরু হয় অবরোধ। আগামীকাল, মঙ্গলবার থেকে শুরু হবে রাজ্যজুড়ে থানা ঘেরাও-সহ আরও অনেক কর্মসূচি।

আরও পড়ুন- নয়া শ্রম আইন, ১৫ মিনিট অতিরিক্ত কাজ করলেই মিলবে ওভারটাইমের টাকা

Advt

Previous article‘ভয়ঙ্কর খেলা হবে, আপনারা সাইডলাইনে বসে দেখুন’, ইঙ্গিতপূর্ণ হুঁশিয়ারি দিলীপের
Next articleফুয়াদ হালিমের পরামর্শেই মইদুলের চিকিৎসা? পুলিশি তদন্তে জেরার মুখে সিপিএম নেতা