ফুয়াদ হালিমের পরামর্শেই মইদুলের চিকিৎসা? পুলিশি তদন্তে জেরার মুখে সিপিএম নেতা

বাম ছাত্র-যুবদের নবান্ন অভিযানে আহত যুবনেতা মইদুল ইসলাম মিদ্যার মৃত্যু নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর! উঠে আসছে একাধিক প্রশ্ন। মইদুলের বহু চর্চিত ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে তাঁর শরীরের অভ্যন্তরীণ আঘাতের বিন্দুমাত্র চিহ্ন মেলেনি। হাঁটুতে অবশ্য ভালই চোট ছিল। এমনটাই বলছে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট। ভিসেরা রিপোর্ট আসলে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে।

আর সেখান থেকেই উঠছে একাধিক প্রশ্নও, ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কোথায় ভর্তি ছিলেন মইদুল? কেন তাঁকে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি? কেন খবর দেওয়া হয়নি বাড়ির লোককে? কেন পুলিশে রিপোর্ট করা হয়নি?

ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমে পড়েছে কলকাতা পুলিশ। তদন্তে উঠে আসছে একাধিক প্রশ্ন। আজ, সোমবার সকাল ৭টা নাগাদ মৃত্যু হয় মইদুল ইসলামের। ১৪ ফেব্রয়ারি রাত ২টো নাগাদ লাইফ লাইন নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয় তাঁকে। নবান্নে অভিযানে আহত হয়েছিলেন মইদুল ইসলাম। আহত হওয়ার পর তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল একটি ক্লিনিকে। ১৩ ফেব্রুয়ারি কোথায় ভর্তি ছিলেন? কীভাবে চিকিৎসা হয়েছিল তাঁর? সেটাই জানতে চাইছেন তদন্তকারীরা। কারণ, ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, মইদুলের শরীরে অভ্যন্তরীণের আঘাতের চিহ্ন নেই। হাঁটুতে ঘর্ষণজনিত চোট রয়েছে। মইদুলের চিকিৎসায় গাফিলতি হয়েছে কিনা, সেই দিকটাই মূলত খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

কার বুদ্ধিতে মইদুলের চিকিৎসা চলছে? নাম উঠে আসছে ডাক্তার ফুয়াদ হালিমের। তদন্তে নেমে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে ফুয়াদ হালিমকে, পুলিশ সূত্রে এমনই খবর।

আরও পড়ুন- হাসপাতালে ভর্তির পর কেন বাড়ি ও পুলিশকে জানানো হয়নি? মইদুল মৃত্যুতে প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর

Advt

Previous articleহাসপাতালে ভর্তির পর কেন বাড়ি ও পুলিশকে জানানো হয়নি? মইদুল মৃত্যুতে প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর
Next articleবামেদের নবান্ন অভিযানে এসে নিখোঁজ পাঁশকুড়ার দীপক