ভোটের মুখে পুদুচেরির কংগ্রেস সরকার সংকটে, সরানো হলো কিরণ বেদিকেও

বাংলার সঙ্গেই ভোট হওয়ার কথা পুদুচেরিতে৷
তার আগেই পর পর চমক৷ বদলে যাচ্ছে পুদুচেরির রাজনৈতিক ভারসাম্য।

একদিকে, পুদুচেরির ৪ কংগ্রেস বিধায়ক ইস্তফা দিয়েছেন, ফলে সংখ্যালঘু হয়ে গিয়েছে রাজ্যের কংগ্রেস সরকার। অন্যদিকে মঙ্গলবার রাতে আচমকাই রাষ্ট্রপতি ভবন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, পুদুচেরির (Puducherry) লেফট্যানেন্ট গভর্নর কিরণ বেদিকে (Kiran Bedi ) সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যতদিন না নতুন উপ-রাজ্যপাল বা LG নিযুক্ত হয়, ততদিন তেলেঙ্গানার রাজ্যপাল তামিলসাই সৌন্দরারাজনকে অতিরিক্ত দায়িত্ব সামলাতে বলা হয়েছে৷ রাষ্ট্রপতি ভবনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বুধবার থেকেই LG-র দায়িত্ব আর পালন করবেন না কিরণ বেদি।

প্রসঙ্গত একসময় দিল্লি- বিজেপির মুখ ছিলেন কিরণ বেদি৷ ২০১৫-র ভোটে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী-মুখ করেই ভোটে যায় বিজেপি। ওই ভোটে উড়ে যায় বিজেপি। তার পর এই প্রাক্তন পুলিশ অফিসারকে কেন্দ্রীয় শাসিত পুদুচেরির উপ-রাজ্যপাল করা হয়। কিন্তু সেখানে প্রতি পদে মুখ্যমন্ত্রী নারায়ণস্বামীর সঙ্গে সংঘাতে জড়ান এই একদা দুঁদে পুলিশ অফিসার।

এদিকে, রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, কিরণ বেদিকে সরিয়ে রাজনৈতিক চাল দিয়েছে বিজেপি৷ সূত্রের খবর, যে দুই কংগ্রেস বিধায়ক গত মাসে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, তাদের একজনের পূর্বশর্ত ছিল যে কিরণ বেদিকে সরাতে হবে। পাশাপাশি কংগ্রেসের ধারাবাহিক অভিযোগ, কেন্দ্র-শাসিত এই অঞ্চলে কাজে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছেন কিরণ। তাঁকে সরিয়ে ভোটের মুখে বিজেপি ‘কং-অস্ত্র’ ভোঁতা করার চেষ্টা করেছে৷

২০২১-এর শুরুতেই ইস্তফা দেন পুদুচেরির কংগ্রেস সরকারের দুই মন্ত্রী, এ নমসসিবায়ম এবং ই থিপাপেনদান। সরাসরি যোগ দেন বিজেপিতে। এর পর গত সোমবার ইস্তফা দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাল্লাদি কৃষ্ণা রাও। ঠিক পরদিনই আর এক ইস্তফায় পুদচেরিতে কংগ্রেস বিধায়কের সংখ্যা কমে দাঁড়াল ১০। তার আগে দলবিরোধী কার্যকলাপের জন্য গত বছর জুলাই কংগ্রেস থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন বিধায়ক এ ধানাভেলু।
এমনিতে ২০১৬ সালের নির্বাচনে ৩০ টি আসনের পুদুচেরিতে ১৫ আসনে জয়লাভ করেছিল কংগ্রেস। কংগ্রেসকে সমর্থন করেন ডিএমকের তিন এবং এক নির্দল বিধায়ক। কিন্তু নির্দল বিধায়ক এবং ডিএমকের সমর্থন নিয়ে এখন কংগ্রেস সরকারের হাতে আছে ১৪ জন। অন্যদিকে বিরোধী এআইএডিএমক এবং অল ইন্ডিয়া এনআর কংগ্রেসের দখলে আছে যথাক্রমে চারটি এবং সাতটি আসন। সঙ্গে বিধানসভায় বিজেপির তিনজন মনোনীত সদস্য আছেন। তার জেরে স্বভাবতই ভোটের মাত্র মাসদেড়েক আগে পুদুচেরিতে কংগ্রেস সরকারে সংকট তৈরি হয়েছে।
আর এর মাঝেই উপ-রাজ্যপাল কিরণ বেদিকে সরানোর ঘোষণায় ওই রাজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে রাজনৈতিক উত্তাপ৷

 

Previous articleব্রেকফাস্ট নিউজ
Next articleকানহাইয়াকে ঘিরে হঠাৎ নানা কথা, জল্পনা