আগামী সপ্তাহের মধ্যেই রাজ্যে আসছে ১২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী

পাখির চোখ পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন(Assembly Election)। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাজ্যে আসছে চলেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force)। প্রাথমিক ভাবে রাজ্যকে ১২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানোর কথা জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহেই ধাপে ধাপে বাহিনীর জওয়ানরা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ঢুকতে শুরু করবে। রাজ্যে ইতিমধ্যেই মোতায়েন থাকা বাহিনীর সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করবেন তাঁরা। আর কয়েকদিন পরই ভোটের দিন ঘোষণা করা হবে বলে জানা গেছে। তাঁর আগে বিভিন্ন স্পর্শকাতর এলাকায় টহলদারি চালাবেন বাহিনীর জওয়ানরা। এর মধ্যে থাকছে সিআরপিএফ , সিআইএসএফ, বিএসএফ। এছাড়াও থাকছে এসএসবি, আইটিবিপি।

সুষ্ঠভাবে বিধানসভা নির্বাচন করার জন্য নিরাপত্তা এখন নির্বাচন কমিশনের(Election Commission) কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। তিনদিনের সফরে এসে কমিশনের ফুল বেঞ্চ ইতিমধ্যেই রাজ্যের পরিস্থিতি পরিদর্শন করে গিয়েছে। সেসময় তাঁরা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তাঁরা বলেছিলেন সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা বজায় রাখতে ভোটের মাসখানেক আগেই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) মোতায়েন করা হবে। তাঁদের কথামত সব ঠিক থাকলে ধাপে ধাপে নিয়ম মেনেই বাহিনী মোতায়েন শুরু করা হবে।  ভোটের সময় কত বাহিনী হাতে থাকবে, তার উপর নির্ভর করবে কোথায় তাঁদের কীভাবে মোতায়েন করা যাবে।

বাংলার মাটিতে পা দিয়েই নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চের তরফে চিফ ইলেকশন কমিশনার সুনীল অরোরা(Sunil Arora) জানিয়ে দেন, নির্বাচন কমিশন জানে, কীভাবে এবারের নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ করাতে হবে। ফুল বেঞ্চের সদস্য হিসেবে চিফ ইলেকশন কমিশনার সুনীল অরোরার সঙ্গে আসেন আরও দুই ইলেকশন কমিশনার রাজীব কুমার ও সুশীল চন্দ্র। তার আগে রাজ্য সফরে এসে ডেপুটি কমিশনার সুদীপ জৈনও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ভোট পরিচালনার ক্ষেত্রে কর্তব্য গাফিলতি হলে নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত আধিকারিককে সরিয়ে দেওয়া হবে।

আরও জানা গিয়েছে, নির্বাচনের সময় বাহিনী মোতায়েন সংক্রান্ত বিষয় ঠিক করতে রাজ্য সরকারের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর নোডাল অফিসার। রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর নোডাল অফিসারের যৌথ আলোচনার ভিত্তিতেই ঠিক হবে, কোন জেলায় কত কম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হবে বা মোতায়েন করা হবে। রাজ্যে এসে পৌঁছানোর পরদিন থেকেই বিভিন্ন এলাকায় এলাকায় রুটমার্চ শুরু করে দিতে চায় কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী। বিধানসভা নির্বাচনে নিরাপত্তা প্রদানের মতো গুরুদায়িত্ব হাতে নেওয়ার আগে প্রত্যেক এলাকা ভাল করে চিনে নিতে এবং রাজ্যের ভোটারদের মন থেকে ভয় দূর করতেই এক এক দিন এক এক এলাকা ভাগ করে চলবে এই রুটমার্চ।

Advt

Previous article২০২১-এ মুখ্যমন্ত্রী নন, বদল হবেন রাজ্যপাল: চ্যালেঞ্জ কুণাল ঘোষের
Next articleঅসন্তোষ,দুর্নীতি! টিকিট বিলির দায়িত্ব রাজ্যের হাত থেকে কাড়ছেন অমিত শাহ