ধর্ষক খোদ বিজেপি নেতা, তড়িঘড়ি দল থেকে বহিষ্কার

কাঠগড়ায় বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গকে ‘সেফ সিটি’ করার জন্য নারী নিরাপত্তার বিষয়টিতে জোড় দেওয়া হচ্ছে, তখন বিজেপি দলের নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। অভিযুক্তকে ধর্ষক হিসেবে চিহ্নিত করল ১৯ বছরের এক তরুণী। শুধু তাই নয়, ওই ঘৃণ্য কাজের আগে তাঁকে জোর করে মদ খাওয়ানোও হয়। এরপর তাঁকে অপহরণ করে গণধর্ষণের পর বাড়ির সামনে ফেলে দিয়ে গিয়েছিল ধর্ষকরা। ইতিমধ্যে থানায় দায়ের হয়েছে মামলা। চার অভিযুক্তের খোঁজে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। মধ্যপ্রদেশের এই নৃশংস ঘটনায় এক বিজেপি নেতার নাম সামনে আসতেই দ্রুত ওই নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করে বিজেপি।

ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের শাহদুল জেলায়। পুলিশ সূত্রের খবর, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯ বছরের ওই তরুনীকে একটি গাড়িতে অপহরণ করে অভিযুক্তরা। তারপর তাঁকে জেইটপুর পুলিশ স্টেশনের অন্তর্গত গাদাঘাট এলাকার একটি ফার্মহাউসে নিয়ে আটকে রাখা হয়। সেখানেই যুবতীকে জোর করে মদ খাওয়ানো হয়। তারপর টানা দু’দিন ধর্ষণ করা হয় তাঁকে। এরপর ২০ তারিখ যুবতীকে তাঁর বাড়ির সামনেই ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় চার অভিযুক্ত। রবিবার থানায় গিয়ে বিজেপি মণ্ডল সভাপতি বিজয় ত্রিপাঠি-সহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন যুবতী। তখনই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসে। চার অভিযুক্তের উপযুক্ত শাস্তির দাবি তুলতে থাকেন স্থানীয়রাও। চাপে পড়ে বিবৃতি দিতে বাধ্য হয় সে রাজ্যের শাসক দল বিজেপি।

মধ্যপ্রদেশের এই মামলায় পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছে। গণধর্ষণের অভিযুক্তদের তালিকায় যে বিজেপি নেতার নাম রয়েছে, সেই খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর পাওয়া মাত্রই ব্যবস্থা নেয় বিজেপি। রবিবারই বিজয়কে দল থেকে বহিষ্কার করে দল। এর আগে উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ের ধর্ষণের ঘটনায় প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সিং সেঙ্গার ধর্ষণ, খুন এবং খুনের চেষ্টার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন। তাঁকেও দল থেকে বহিষ্কার করেছিল বিজেপি।

Advt