দক্ষিণের একমাত্র রাজ্যও হাতছাড়া কংগ্রেসের, পুদুচেরিতে কি রাষ্ট্রপতি শাসন?

দক্ষিণ ভারতের একমাত্র কংগ্রেস শাসিত রাজ্যও ‘হাতছাড়া’ হল। ঘটনাচক্রে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সফরের পাঁচদিন পরই কংগ্রেস সরকারের পতন হল পুদুচেরিতে (Congress loses power in Puducherry)। গত কয়েকদিন ধরে একের পর এক কংগ্রেস বিধায়ক দলত্যাগের ঘোষণা করে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। এর জেরে এমনিতেই সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে পুদুচেরির ভি নারায়ণস্বামী সরকার (narayanswamy govt.)। সোমবার আস্থা ভোট (trust vote) হওয়ার আগেই দেখা যায় কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা নেমে এসেছে ১২ তে। অন্যদিকে বিরোধী এনআর কংগ্রেস-বিজেপি জোটের পক্ষে রয়েছে ১৪ জন বিধায়ক। ফলে পদত্যাগ করতে হচ্ছে কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী ভি নারায়ণস্বামীকে। পুদুচেরিতে সরকার ফেলার জন্য সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপিকে দায়ী করেছেন নারায়ণস্বামী। বলেছেন, বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলি অসাংবিধানিকভাবে দখল করতে বিজেপির ‘অপারেশন কমলা’ চক্রান্ত চলছে। লেফটেন্যান্ট গভর্নরের মাধ্যমে লাগাতার সরকারের মধ্যে অস্থিরতা তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিজেপি এভাবেই নির্লজ্জ দখলদারির কৌশল কায়েম করতে চায় সারা দেশে। গণতান্ত্রিক রীতিনীতির প্রতি ওদের কোনও শ্রদ্ধা বা আস্থা নেই।

বিধানসভা নির্বাচনের মাত্র তিন মাস অাগে সরকার পড়ে যাওয়ায় চরম অস্তস্তি কংগ্রেস শিবিরের। মধ্যপ্রদেশের পর এবার পুদুচেরিতেও মেয়াদ শেষের আগেই পতন ঘটল কংগ্রেস সরকারের। সোমবার আস্থা ভোটে হেরে গেলেন পুদুচেরির মুখ্যমন্ত্রী ভি নারায়ণস্বামী। তার আগে রবিবার কংগ্রেসের আরও দুই বিধায়ক ইস্তফা দেওয়ার পরই সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছিল কংগ্রেস সরকার। সোমবার পুদুচেরি বিধানসভায় আস্থা ভোটের শুরুতেই শাসকদলের বিধায়করা ওয়াকআউট করেন। তারপরই স্পিকার জানিয়ে দেন, বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে কংগ্রেস সরকার। এখন প্রশ্ন হল, বিধানসভা নির্বাচনের মুখে কি নতুন কোনও সরকার তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হবে, নাকি রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হবে পুদুচেরিতে? প্রসঙ্গত, রাজ্যের লেফটেন্যান্ট গভর্নর কিরণ বেদীর বিরুদ্ধে লাগাতার সংঘাত চলছিল কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী নারায়ণস্বামীর। সেই কিরণ বেদীকেও কয়েকদিন আগে অপসারণ করেছে কেন্দ্র।

Advt

Previous articleমানহানির সমনে অমিত শাহর ঠিকানা ভুল, মামলা গেল ব্যাঙ্কশাল কোর্টে
Next articleবাঙালির আবেগকে উস্কে দিতে কালীঘাট- দক্ষিণেশ্বর মন্দিরকে জুড়ে টুইট মোদির