Thursday, August 28, 2025

২০২১-এ ৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে এবার সর্বোচ্চ ৮ দফায় নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। এখানে তামিলনাড়ুতে ২৩৪ টি আসনের জন্য এক দফায় নির্বাচন করা হচ্ছে সেখানে বাংলায় এত দফা নির্বাচনে রীতিমতো ক্ষুব্ধ শাসক দল। শুক্রবার নির্বাচন কমিশনের তরফে নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশ করার পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম না করে কমিশনকে পক্ষপাতদুষ্ট এমনটাই অভিযোগ করে তিনি প্রশ্ন তুললেন, কার সুবিধার জন্য বাংলায় ৮ দফা ভোট?

এদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তবু কোথাও একটা প্রশ্ন চলে আসছে। বিহারে ২৪০টি আসনে ৩টি দফায় নির্বাচন। অসমে ৩টি দফায়। তামিলনাড়ুতে ২৩৪টি আসনে একদিনে নির্বাচন। কেরলে সিপিএমের সরকার সেখানেও এক দফায়। তবে বাংলায় ৮ দফায় ভোট কেন? কাকে সুবিধা করে দেওয়ার জন্য?’ এরপরই সরাসরি বিজেপিতে দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে তিনি বলেন, ‘বিজেপির অনুরোধে এটা করা হয়েছে। এমনকি গোটা জেলায় একদিনে নির্বাচন হচ্ছে না। ২৭ মার্চ নির্বাচন করছেন পুরুলিয়ায়। বাঁকুড়াটা ভাগ করেছেন। পূর্ব মেদিনীপুরের পার্ট ওয়ান। বিএ পার্ট ওয়ান শেখাচ্ছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় আমাদের জোর বেশি, তাই তিন দফায় ভোট করা হচ্ছে। বাঁকুড়া পার্ট টু। এগুলি নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ বলে দিয়েছে? ৩০ দিনের খেলা খেলবেন?’

এরপরই নাম না করে বিজেপিকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে তিনি জানিয়ে দেন, ‘আমাদের কিছু যায় আসে না। হারিয়ে ভূত করে দেব। আপনারা জেলাকে ভাঙছেন। ভাইকে ভাঙছেন। হিন্দু-মুসলিমকে ভাঙছেন। আপনারা বাঙালি-রাজবংশী ভাঙছেন। আপনারা দেশটাকে ভাঙছেন।’ পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিজেপির চোখ দিয়ে বাংলাকে দেখবেন না’।

আরও পড়ুন:Assembly Election 2021 : ৫ রাজ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা, কোথায় কবে? রইল তালিকা

পাশাপাশি লোকসভা নির্বাচনে যে বিবেক দুবে বাংলার পর্যবেক্ষক ছিলেন একুশের নির্বাচনে ফের তাকেই রাখা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফ এ প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘২০১৯ সালে বিবেক দুবে পর্যবেক্ষক ছিলেন। তিনিই ফের পর্যবেক্ষক হলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী যেন ক্ষমতার অপব্যবহার না করেন। বিজেপির সবাই মনে করে, বাংলাকে নিগৃহীত করব! বাংলাকে বঞ্চনা করব! যত নেতা আছে নিয়ে আসুন। আমরা ধানক্ষেতের লোক। ঘরে কাজ করার লোক। এত ভয় আমাকে! পুরো কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত সংস্থাকে নিয়ে এই পরিকল্পনা তৈরি করেছে। নির্বাচনের পর পুরস্কার দিতে হবে। আমরা জিতব। আমরা স্ট্রিট ফাইটার।’

Related articles

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...

সুখবর! পুজোর আগে পার্ট টাইম কর্মীদের বেতন বাড়াল রাজ্য 

পুজোর আগে রাজ্যের আংশিক সময়ের কর্মীদের জন্য বড় সুখবর দিল নবান্ন। বিভিন্ন দফতর ও সরকার অধীনস্থ সংস্থায় কর্মরত...
Exit mobile version