বাংলা-সহ ১১ রাজ্য থেকে ওড়িশা গেলে ৭ দিনের হোম আইসোলেশন বাধ্যতামূলক

পশ্চিমবঙ্গের করোনা পরিস্থিতি এই মুহুর্তে ভিন রাজ্যের কাছে রীতিমতো আতঙ্কজনক৷

আর বাংলায় (West Bengal) মানুষ মেতেছে নির্বাচন নিয়ে৷ সংক্রমণ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলির ন্যূনতম হেলদোল নেই৷ আপন গতিতে চলছে ভোট প্রচার, মিছিল, মিটিং৷ ওদিকে নীরবে বাড়ছে করোনা৷

ওড়িশা সরকার (Odisha) শুক্রবার এক তাৎপর্যপূর্ণ নির্দেশিকা জারি করে বলেছে, দেশের নির্দিষ্ট ১১ রাজ্য থেকে ওড়িশায় আসা নাগরিকদের করোনা- প্রোটোকল অনুসারে বিমানবন্দর এবং রেলস্টেশনে স্ক্রিন করতে হবে। আরও গুরুত্বপূর্ণ, এদের বাধ্যতামূলকভাবে ৭ দিনের হোম আইসোলেশনে থাকতে হবে।

এই ১১ রাজ্যের মধ্যেই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের নাম৷ এছাড়াও আছে, মহারাষ্ট্র, কেরল, তামিলনাড়ু, ছত্তিসগড়, মধ্য প্রদেশ, তেলেঙ্গানা, পাঞ্জাব, দিল্লি, কর্ণাটক এবং অন্ধ্র প্রদেশ এবং কেন্দ্রশাসিত চণ্ডীগড়।
ওড়িশা সরকার জানিয়ে দিয়েছে,এই রাজ্য থেকে ওড়িশায় ঢোকা মানুষজন বাধ্যতামূলকভাবে ৭ দিন হোম আইসোলেশনে থাকার পর এদের শরীরে করোনার কোনও লক্ষণ দেখা গেলে, তাদের করোনা-টেস্ট বা RT-PCR পরীক্ষা করা হবে৷ পরীক্ষায় রিপোর্ট পজিটিভ এলে তাদের কোভিড -১৯ প্রোটোকল অনুযায়ী চিকিৎসা বাধ্যতামূলক৷

নবীন পট্টনায়েক সরকারের ঘোষণা, এই নির্দেশিকা পালনে কোনওরকম শিথিলতা হলে ওড়িশাতে করোনা ফিরে আসতে পারে মহামারী-র আকার নিয়ে৷ বিগত দিনের যাবতীয়
প্রচেষ্টা নষ্ট হতে পারে৷ তা কখনই বরদাস্ত করা হবে না৷ ওই রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব (স্বাস্থ্য) পিকে মহাপাত্র এই ঘোষণা করেছেন৷ ওড়িশার সব ক’টি জেলার কালেকটর তথা জেলাশাসক, সব পুরসভার কমিশনার, ভুবনেশ্বর ও ঝাড়সুগুদা বিমানবন্দরের পরিচালক এবং পূর্ব উপকূল রেলপথের জেনারেল ম্যানেজারকে সব ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
ওড়িশার অতিরিক্ত মুখ্য সচিব (স্বাস্থ্য) বলেছেন, ১১ রাজ্য থেকে আগত সব যাত্রীদের প্রোটোকল অনুসারে বিমানবন্দর এবং রেলস্টেশনে পৌঁছানোর পয়েন্টে স্ক্রিন টেস্ট হবে। করোনার লক্ষণ আছে, এমন যাত্রীদের অন-সাইটে র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা হবে। মাস্ক এবং শারীরিক দূরত্ববিধি কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হবে।

Advt

Previous articleফের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মোদির, পরিবেশের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা
Next articleমুর্শিদাবাদ ও কেরল থেকে আল কায়দা সন্দেহে গ্রেফতার ১১ জনকে চার্জশিট পেশ