আদর্শ আচরণবিধি চালু রাজ্যে, নজর রাখতে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে স্ক্রিনিং কমিটি

ভোট ঘোষণা হওয়ামাত্রই রাজ্যে চালু হয়ে গিয়েছে আদর্শ আচরণ বিধি (Model Code of Conduct)। এই MCC বলছে, রাজ্যের শাসনভার এখন নির্বাচন কমিশনের হাতে৷

MCC অনুযায়ী কী কী করা যাবে আর কী কী করা যাবে না, তার বিস্তারিত তালিকা ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে জেলাশাসকদের (DM) কাছে। শুক্রবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব (ARIZ AFTAB) ৪ পাতার এই নির্দেশিকা পাঠিয়েছেন জেলাশাসকদের। একই সঙ্গে কোন কাজ রাজ্য সরকার করতে পারবে তা দেখতে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CS)নেতৃত্বে ৩ সদস্যের এক স্ক্রিনিং কমিটিও ঘোষণা করা হয়েছে। ওই কমিটির বাকি দুই সদস্য হলেন স্বরাষ্ট্রসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদি এবং স্বরাষ্ট্রদপ্তরের প্রশাসনিক সংস্কার ও কর্মিবর্গ দপ্তরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব বি পি গোপালিকা। রাজ্যে চালু থাকা প্রকল্প বা MCC-র কারনে কোনও কাজ নিয়ে সমস্যা হলে এই স্ক্রিনিং কমিটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। নতুনভাবে কোনও টেন্ডার ঘোষণা করা যাবেনা৷ উন্নয়নমূলক কোনও কাজও করা যাবে না। সরকারের তরফে এ ধরনের কোনও ঘোষণাও করা যাবে না। তবে, ইতিমধ্যেই যেসব প্রকল্পের কাজ চলছে, সেগুলি চলবে বলে কমিশন জানিয়েছে৷

কমিশন সূত্রে খবর, রাজ্যে দু-এক দিনের মধ্যেই আসছেন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। জৈন-ই পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের দায়িত্বে৷ তিনি রাজ্য প্রশাসন ও নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠক করবেন। ওদিকে, প্রথম দফার ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার আগে রাজ্যে আসবেন বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক এবং দু’জন বিশেষ পুলিস পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে এবং মৃণালকান্তি দাস। তাঁদের জেলায় জেলায় যাতায়াতের জন্য হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করেছে নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের পুলিশের ভূমিকা খতিয়ে দেখবেন বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে এবং মৃণালকান্তি দাস।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটেও অজয় নায়েক ও বিবেক দুবে এসেছিলেন। কমিশনের ধারনা, তাঁদের পশ্চিমবঙ্গের ভোট সম্পর্কে ধারণা রয়েছে। তাই ফের তাঁদের পাঠানো হচ্ছে। এই অজয় নায়েক আগে বিহারের CEO ছিলেন। গত লোকসভা ভোটে তাঁকে রাজ্যের CEO আরিজ আফতাবের মাথায় বসানো হয়েছিল, এবারও সম্ভবত তেমনই হবে৷ ওদিকে, শুক্রবার পর্যন্ত রাজ্যে ৮৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে এসেছে। বাকি বাহিনী আজ আসার কথা৷ রাজ্য পুলিসের নোডাল অফিসার এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর নোডাল অফিসার যৌথ আলোচনায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করবে৷ এজন্য এবার প্রথম ৩ সদস্যের কমিটিও তৈরি করা হয়েছে। শুক্রবার থেকেই অভিযোগ জানানোর জন্য ‘সি-ভিজিল’ অ্যাপ কাজ শুরু করেছে৷ প্রতিটি রাজনৈতিক কর্মসূচির উপর মনিটরিং করার জন্য জেলায় জেলায় নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন:ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা, উদ্বেগ বাড়িয়ে দিল রাজ্যের করোনা সংক্রমণের প্রবণতা

Advt

Previous articleভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা, উদ্বেগ বাড়িয়ে দিল রাজ্যের করোনা সংক্রমণের প্রবণতা
Next articleকয়লাকাণ্ডে সিবিআই নজরে ব্যবসায়ী রণধীন, আজ জিজ্ঞাসাবাদ নিজাম প্যালেসে