২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থীতালিকা ঘোষণা হওয়ার আগেই শাসক দলের নেতা তথা বিধায়কের(MLA) নামে দেওয়াল লিখন হল পশ্চিম মেদিনীপুরে! যা নিয়ে শাসক-বিরোধী তরজা শুরু হয়ে গেল মেদিনীপুর জেলা জুড়ে। প্রসঙ্গত, খড়্গপুর গ্রামীণ বিধানসভা এলাকাতে প্রার্থী হিসেবে পুনরায় ওই এলাকার তৃণমূল বিধায়ক দীনেন রায়কে(Diden Roy) ধরে নিয়ে তাঁর নামে দেওয়াল লেখা হয়। পাশাপাশি খড়্গপুর (সদর) কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী(TMC) হিসেবে নাম লেখা হয়েছে প্রদীপ সরকারের(Pradeep Sarkar)।যদিও শাসকদলের নেতাদের বক্তব্য, এটা বিরোধীদের চক্রান্ত। বিতর্ক তৈরি করতেই এই কাজ করা করেছে বিজেপি। অন্যদিকে প্রদীপ সরকারের দাবি, অত্যুৎসাহী কেউ এক ধরনের কাজ করে থাকতে পারে। কিন্তু যতক্ষণ না দল প্রার্থী ঘোষণা করছে তার আগে এটা কোনওভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।
উল্লেখ্য সোমবার রাতের অন্ধকারে কেউ বা কারা খড়্গপুর গ্রামীণের বর্তমান বিধায়ক ও মেদিনীপুর পৌরসভার প্রশাসক দীনেন রায়ের নামে দেওয়াল লেখে ওই বিধানসভা এলাকাতেই। এ নিয়ে জেলা তৃণমূল নেতারা জানান, কেউ বা কারা অতি উৎসাহিত হয়ে এই ধরণের কাজ করেছে কিনা খোঁজ নেওয়া হবে। তবে, তাঁদের দলের কেউ এই ধরনের কাজ করবে বলে মনে হয় না, কারণ স্বয়ং দলনেত্রী যতক্ষণ না প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করছেন। এই সব কাজ বিরোধী দল করিয়ে থাকতে পারে তাদের অভিযোগ। স্বয়ং দীনেন রায় ক্ষুব্ধ হয়ে জানিয়েছেন, “এসব কাজ আমাদের কর্মীরা কেউ করেনি! বিরোধীরা বিতর্ক তৈরি করতেই এসব কাজ করছে। আর মিডিয়াকে দিয়ে প্রচার করাচ্ছে।” এনিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি’র জেলা সহ সভাপতি গৌতম ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “তৃণমূল হারের ভয়ে এবং গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে আক্রান্ত! তাই, সব কিছুতেই বিরোধী ভূত দেখতে পাচ্ছে।”
আরও পড়ুন:নন্দীগ্রাম কেন্দ্রের প্রার্থী হিসাবে ১১ মার্চ মনোনয়ন পেশ করতে পারেন মমতা
পাশাপাশি, খড়্গপুর (সদর) কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে নাম লেখা হয়েছে বিদায় বিধায়ক প্রদীপ সরকারের নামে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কেউ যদি ব্যক্তিগতভাবে কিছু লিখে থাকে সে বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। তবে এটা কখনই উচিত নয়। কিন্তু দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, যতক্ষণ না প্রার্থীর নাম ঘোষণা হচ্ছে ততক্ষণ দেওয়াল লিখন করা যাবে না। আমার অজান্তেই এটা করা হয়েছে। দলের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, শুধুমাত্র দলের প্রতীক এবং বাকি জিনিসগুলি লেখার জন্য নামের জায়গা ফাঁকা রাখার নির্দেশ ছিল কড়া ভাবে।’