বঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে রীতিমতো তেতে উঠেছে রাজনীতি। সম্প্রতি বাম, কংগ্রেস ও আইএসএফের ব্রিগেড সমাবেশে বিপুল জনসমাগমের পর আগামী ৭ মার্চ প্রথমবার মোদির উপস্থিতিতে ব্রিগেডের জনসভা করবে বিজেপি। ব্রিগেডের(Brigade rally) জনসভায় বিজেপির(BJP) তরফে বড় চমক থাকতে পারে বলে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জল্পনা। আর সেখান থেকেই উঠে আসছে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের(Sourav Ganguly) নাম। রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে হয়তো ব্রিগেডের জনসভা মোদীর হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করতে পারেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট তথা বাঙালির ‘দাদা’ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
অবশ্য বঙ্গ রাজনীতিতে এ জল্পনা বহু আগে থেকেই শুরু হয়েছিল। অনুমান করা হচ্ছিল বাংলায় তৃণমূলকে হারিয়ে বিজেপি যদি সংখ্যাগরিষ্ঠ পায় সে ক্ষেত্রে সকলকে চমকে দিয়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী করতে পারে বিজেপি। অনেকটা ঠিক উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথের মত। পাশাপাশি সৌরভের বিজেপি ঘনিষ্ঠতা যে ভালো মতই হয়েছে তা ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। তাঁর অসুস্থতার সময় বার বার ফোন করে খোঁজ নিয়েছেন অমিত শাহ, নরেন্দ্র মোদি। সৌরভের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর ২০১৪ সালে সৌরভকে মাঠে নামাতে চেয়েছিলেন খোদ নরেন্দ্র মোদি। জানা যায়, গুজরাটে বিজেপি শক্তপোক্ত ঘাঁটি থেকে জিতিয়ে এনে তাঁকে ক্রীড়ামন্ত্রী করার ইচ্ছা ছিল বিজেপির। যদিও সবিনয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেন সৌরভ। তৃণমূলের তরফেও বারবার সৌরভকে রাজনীতিকে নামানোর চেষ্টা হলেও সৌরভ কখনো খেলা ছেড়ে রাজনীতির মাঠে নামার ইচ্ছে প্রকাশ করেনি।
যখনই সৌরভের রাজনীতি যোগের জল্পনা শুরু হয়েছে তিনি জানিয়েছেন এটা অনেকটা দুর্গাপুজোর মতো। প্রতি বছর আসে আবার মিলিয়ে যায়। এমন কোনও পরিকল্পনা আমার নেই, পরে কী হবে তা দেখা যাবে। এদিকে সৌরভের বিজেপি যোগদান নিয়ে কিছুটা জল্পনা বাড়িয়ে দেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। ইঙ্গিতপূর্ণভাবে তিনি বলেন,”সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় তো বিশ্রামে ছিলেন। শরীর ভালো হলে এই রোদে যদি নেট প্র্যাকটিসে আসেন, মানে ওয়ার্মআপে। মানুষ তাই-ই চাইছেন। ওঁর যদি মনে হয়, আবহাওয়া ভালো মাঠে নামবেন।” এক সংবাদমাধ্যমের তরফে জানানো হয়, সৌরভ হয়তো বিজেপি যোগ দিতে পারেন ব্রিগেড মঞ্চেই। পরিস্থিতি যখন ব্যাপক জল্পনার আকারে যায় তখনই সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খোলেন খোদ সৌরভ। তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, ব্রিগেডের মঞ্চ বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কোনও রকম সম্ভাবনা নেই তাঁর।