এখনই করোনাভাইরাসের উপদ্রব শেষ হবে না। চলতি বছরেও গোটা বিশ্বজুড়ে দাপিয়ে বেড়াবে করোনা। ২০১৯ সালের শেষ থেকে শুরু হয়েছিল করোনার দাপট। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-র সতর্কবার্তায় ফের উদ্বেগ বাড়ল। WHO জানাচ্ছে, ২০২১ সালেও করোনার দাপট শেষ হবে না। কমবে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা।
তামিলনাড়ুর করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার উদ্বেগ প্রকাশ করল কেন্দ্র। বিধানসভা ভোটের আগে দক্ষিণ ভারতের ওই রাজ্যে কোভিড-১৯-এর পুনরুত্থানের ফলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের আশঙ্কা। মন্ত্রকের আধিকারিকদের একাংশের মতে গত দু’সপ্তাহে তামিলনাড়ু কার্যত করোনা উপত্যকা হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন-করোনা-টিকা’র সার্টিফিকেটে কেন মোদির ছবি, নাম? কমিশনে অভিযোগ তৃণমূলের
ইতিমধ্যেই আফ্রিকার দেশগুলিতে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছে। পশ্চিম আফ্রিকার দেশ ঘানায় চলছে টিকাকরণ। এমনিতেই গত কয়েক দশকে একের পর এক ভাইরাসের হানায় জেরবার হয়েছে আফ্রিকার দেশগুলি। ইবোলার মতো মারণ ভাইরাস আফ্রিকায় তাণ্ডব চালিয়েছে। আফ্রিকার দেশগুলিতে ভারতের কোভিশিল্ড পৌঁছেছে। ঘানায় ইতিমধ্যে ৬ লক্ষ ডোজ পৌঁছেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার-র এমার্জেন্সি ডিরেক্টর মাইকেল রায়ানের কথায়, চলতি বছরও করোনা মহামারি চলবে। তবে এখন আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা কমবে। গত সপ্তাহেই সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্তের সংখ্য়া আবার বেড়েছে। কিন্তু এখনই মাস্ক পরা ও স্যানিটাইজার ব্যবহার ছেড়ে দিলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে।
হু-র তরফে জানানো হয়েছে, গত সপ্তাহে ইউরোপ, আমেরিকা ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশে করোনা আক্রান্তের নতুন কেস পাওয়া গিয়েছে। গত সাত সপ্তাহে বিভিন্ন দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা কমেছিল। কিন্তু নতুন করে আবার আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় উদ্বিগ্ন হয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্তারা। করোনার নতুন প্রজাতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে WHO। সারা বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১.৪৯ কোটি। ৯ কোটি মানুষ করোনাকে হারিয়ে সেরে উঠেছেন। মারা গিয়েছেন ২৫ লাখ ৪৯ হাজার মানুষ।