নন্দীগ্রাম আব্বাসের দলকে ছাড়তে চায় না বামেরা

একদিকে সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কের আধিক্য, অন্যদিকে নিজেদের ক্ষয়িষ্ণু শক্তি। এই দুইয়ের জেরে এবার বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রাম (Nandigram) আসনটি নতুন জোটসঙ্গী আইএসএফ-কে (ISF) ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছিল সিপিএম (CPM)। কিন্তু এরপর বাম মহলেই প্রবল সমালোচনা শুরু হয়। বলা হয়, নন্দীগ্রামের মত গুরুত্বপূর্ণ আসনে ভোটের আগেই হেরে বসে আছে বামেরা। অনেকে আবার কটাক্ষ করছিলেন, আবাস সিদ্দিকির দলকে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত নন্দীগ্রাম ছেড়ে দিয়ে আসলে বিজেপির সুবিধা করে দিতে চলেছে বামেরা। কারণ তৃণমূলের পক্ষে থাকা সংখ্যালঘু ভোট আইএসএফ কাটলে বিজেপির সুবিধা। ইতিমধ্যেই এই আসনে লড়ার কথা জানিয়েছেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এখানে তাঁর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হবেন বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। এই পরিস্থিতিতে বামেদের তথাকথিত ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ ভাবমূর্তির উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পাশাপাশি পলায়নী মনোবৃত্তি নিয়েও নানা মহলে সমালোচনা শুরু হয়। শেষপর্যন্ত চাপের মুখে সম্ভবত আগের রণনীতি বদল করছে সিপিএম (CPM)। তৃণমূলের (TMC) প্রার্থী ঘোষণার পরই এবিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।

প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রাম আসনে ১৯৫১ সাল প্রার্থী গিয়ে আসছে বামেরা। একসময় এটি ছিল কার্যত বামপন্থীদের দুর্জয় ঘাঁটি। এখানে একবার সিপিএম, ন’বার সিপিআই জিতেছে। সংখ্যালঘু অধ্যুষিত সেই নন্দীগ্রামই এবার ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আলিমুদ্দিন। সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে এই আসনটি আব্বাসের দলকে নয়, বরং নিজেদের হাতে রাখতে চায় বামেরা। কারণ তা না করলে অভিযোগ উঠবে, হারের ভয়ে আইএসএফকে নন্দীগ্রাম ছেড়ে দিয়েছে বামেরা। জনমানসে এই বার্তা যাক, তা চায় না সিপিএম নেতৃত্ব। শোনা যাচ্ছে, আইএসএফ নেতৃত্বকেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আলিমুদ্দিনের মনোভাব। মমতার বিরুদ্ধে প্রতীকী হলেও সম্মুখসমরের রেকর্ড না রাখলে নিচুতলায় অন্য বার্তা যেত বলে শেষ মুহূর্তে সতর্ক হল সিপিএম।

আরও পড়ুন- তৃণমূল-বিজেপির বিরুদ্ধে একরাশ অভিযোগ তুলে কমিশনে বাম-কংগ্ৰেস-আইএসএফ

Advt

Previous articleতৃণমূল-বিজেপির বিরুদ্ধে একরাশ অভিযোগ তুলে কমিশনে বাম-কংগ্ৰেস-আইএসএফ
Next articleব্রেকফাস্ট নিউজ