২০ বছর জেল খাটার পর অবশেষে ধর্ষণ মামলায় বেকসুর খালাস অভিযুক্ত

অপরাধ করেনি অথচ রাষ্ট্রযন্ত্রের যাঁতাকলে পড়ে জেলের মধ্যে কাটিয়ে ফেলেছেন ২০ টা বছর। অবশেষে হতভাগ্য এমনই এক ব্যক্তিকে বেকসুর খালাস করল আদালত। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের(Uttar Pradesh) রোহিতপুরের এক ছোট্ট গ্রামের বাসিন্দা বিষ্ণু তিওয়ারির(Vishnu Tiwari) সঙ্গে। ধর্ষণ ও এসসি/এসটি আইনে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের ভিত্তিতে এত প্রতিবছর বিনা অপরাধে জেল খাটতে হয় বিষ্ণুকে। আর এই ঘটনায় রীতিমতো তাজ্জব গোটা দেশ। সম্প্রতি আদালত তাকে বেকসুর খালাস করার পর সরকারের কাছে তার আবেদন, ‘এই ২০ বছরে সবকিছু হারিয়ে ফেলেছি আমি। এখন সরকার যদি আমায় সাহায্য না করে তবে আত্মহত্যা ছাড়া পথ নেই।’

সম্প্রতি আদালতের নির্দেশে বেকসুর খালাস পাওয়ার পর বুধবার রাতে ললিতপুর নিজের বাড়িতে পৌঁছান তিওয়ারি। দীর্ঘ ২০ বছর পর বাড়ি পৌঁছে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিষ্ণু বলেন, গত ২০ বছরে আমার জীবনের সব কিছু নষ্ট হয়ে গেছে। জেলবন্দি থাকাকালীন আমার বাবা মায়ের মৃত্যু হয়। তার পর এক দুর্ঘটনায় দুই ভাই মারা যান। অথচ এত কিছুর পরেও জেল কর্তৃপক্ষ আমায় একদিনের জন্য পরিবারের কাছে যেতে দেয়নি। এমনকি জেল থেকে একটা ফোনও করতে দেওয়া হয়নি আমাকে। বিনা দোষে এতগুলো বছর জেল বন্দী থাকার পর এখন আমার আর কিছু নেই। জেলে বন্দী থাকাকালীন একেকটা সময় মনে হতো এখানেই মৃত্যু হয়ে যাবে আমার।

আরও পড়ুন:গ্রাহকদের জন্য আরও সহজ হচ্ছে গ্যাস বুকিং, নিয়ম বদলাচ্ছে কেন্দ্র

কিন্তু কী ঘটেছিল বিষ্ণুর সঙ্গে? তিনি জানান, গবাদি পশু নিয়ে এক প্রতিবেশীর সঙ্গে ছোটখাটো অশান্তি হয়েছিল তাদের। এই ঘটনায় স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় তার বিরুদ্ধে। পরে রাজনৈতিক সাহায্য নিয়ে তার বিরুদ্ধে এসসি/এসটি আইনে মামলা ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়। এরপর পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন। তাঁর কথায়, আমার কোনও উকিল ছিল না। কোথা থেকে কি হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারিনি। তারপর থেকে দীর্ঘ বছর কাটাতে হয় জেলে। অবশেষে দীর্ঘ বছর পর এই ঘটনায়, হাইকোর্ট হাইকোর্ট বিষ্ণু তিওয়ারিকে নিরপরাধ জানিয়ে তাকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি কড়া নির্দেশ দেওয়া হয় এই ধরনের মামলায় দ্রুত শুনানি করার জন্য।

Advt

Previous article‘শূন‍্য’ করার রেকর্ড গড়লেন বিরাট
Next articleচোখে অস্ত্রোপচারের পর এখন সুস্থ আছি, জানালেন অমিতাভ